মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে : রাহুল গান্ধি

শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সুুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিজেপি’র মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রক্রিয়ার  বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে।

Written by SNS New Delhi | November 26, 2019 2:48 pm

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS)

মহারাষ্ট্রে বিজেপি তাডাহুড়ো করে অজিত পাওয়ারের সমর্থনে যেভাবে সরকার গঠন করেছে, তা ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হত্যা’ করার সামিল- কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি লোকসভায় এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করার কোনও অর্থ হয় না। মহরাষ্ট্রে যেভাবে সরকার গঠন করা হয়েছে, তাতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হত্যা করা হয়েছে। তবুও সংসদে আমি জিজ্ঞাসা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে বাধা দেওয়া হয়’।

শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সুুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিজেপি’র মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রক্রিয়ার  বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। পাশাপাশি রাজভবনে গিয়ে তারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের সাপেক্ষে ১৬২ জন বিধায়কের স্বাক্ষর পত্র পেশ করে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে। এনসিপি’র তরফে ৫১ জন, কংগ্রেসের ৪৪ জন, এনসিপি ৫১ জনের স্বাক্ষর জমা করেছে। সমাজবাদী পার্টিও তাঁদের দু’জন বিধায়কের স্বাক্ষর জমা করেছে।

ফড়নবিশ সরকার ভাগ্য ঠিক করবে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। সংসদ ভবন চত্বরে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি নেতৃত্বে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ব্যানার হাতে প্রতিবাদ দেখান। তাঁরা স্লোগান দেন, ‘বিজেপি, গণতন্ত্র হত্যা বন্ধ কর’। কংগ্রেস সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু হতে লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছিল। স্পিকার ওম বিড়লা দু’জন কংগ্রেস সাংসদ টি এন প্রথাপন, হিবি ইডেনকে লোকসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বেডিয়ে যেতে বলেন।

বিজেপি’র তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, তার মধ্যে ৫৪ জন এনসিপি বিধায়ক। শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে, তাদের সমর্থনে ১৫৪ জনের সমর্থন রয়েছে।

এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার বলেন, দলের সঙ্গে ৫৩ জন বিধায়ক রয়েছেন। অজিত পাওয়ার চালাকি করে সেনা নেতৃত্বাধীন জোটে  এনসিপি বিধায়কদের স্বাক্ষরিত পত্র জমা করেছে। তাঁরা আশা করছেন, সুপ্রিম কোর্ট বিধানসভায় ফড়নবিশ সরকারকে শক্তি পরীক্ষার নির্দেশ দেবেন।