স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক জীবনে ধর্ষণের অভিযোগের মান্যতা দিল না দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় অব্যাহতি দেওয়া হল স্বামীকে। প্রসঙ্গত ‘বিকৃত’ যৌনতার মামলা এই ধারার আওতায় পড়ে। কিন্তু এই ধারায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সঙ্গে ‘বিকৃত যৌনতা’র মামলা করা যায় না। কারণ, এই মামলার শুনানি পর্বে আদালত জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার আওতায় স্বামী পড়েন না।
কিন্তু কেন দিল্লি হাইকোর্ট এই রায় দিল? সম্প্রতি ‘বিকৃত যৌনতা’ নিয়ে একটি মামলা দিল্লি হাইকোর্ট অবধি গড়ায়। এক মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানি পর্বে সংশ্লিষ্ট বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মার পর্যবেক্ষণ, আইনে বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যৌনতায় স্ত্রীর সম্মতি রয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ‘বিকৃত’ যৌনতার অভিযোগে ৩৭৭ ধারার আওতায় স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা যায় না।
Advertisement
এ প্রসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের একক বেঞ্চ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা থেকে একজন স্বামী সুরক্ষিত থাকবেন না বলে ধরে নেওয়ার কোনও ভিত্তি নেই। সেই কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ‘বিকৃত’ যৌনতাকে ৩৭৭ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য বলা যায় না।
Advertisement
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দিল্লির ওই দম্পতির মামলা প্রথমে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন থাকাকালীন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুসারে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে স্বামী মামলাটি চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে যান। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি শর্মার বেঞ্চ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। পাশাপাশি বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়ে আইনে কিছু উল্লেখ নেই বলে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
যদিও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী মহিলা কখনওই নির্দিষ্টভাবে স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলেননি। স্বামীর বিরুদ্ধে ‘বিকৃত যৌনতা’র যে অভিযোগগুলি রয়েছে, সেটি স্ত্রীর সম্মতিতে হয়েছে, নাকি সম্মতি ছাড়া হয়েছে, তা-ও অভিযোগে স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। আর সেকারণেই হাইকোর্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘বিকৃত যৌনতা’য় মামলায় চার্জ গঠনের নির্দেশ সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে।
Advertisement



