ক্রমশ খারাপ হতে থাকা দিল্লির বায়ুর গুণমান নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী শহর প্রশাসনের পরিবেশ দপ্তর শনিবার নতুনএক নির্দেশিকা জারি করেছে। বলা হয়েছে, বেসরকারি দপ্তরগুলিতে এখন থেকে দপ্তরে উপস্থিত কর্মীর সংখ্যা অর্ধেকের বেশি রাখা যাবে না। বাকি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরিবেশ দপ্তরের বক্তব্য, ‘সমস্ত বেসরকারি দপ্তরকে অনুরোধ করা হচ্ছে, যাতে এই নির্দেশ দ্রুত, কার্যকর ও সর্বত্র প্রয়োগ করা হয়।’
দূষণ মোকাবিলার পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে কঠোরতা বাড়ছে। দীপাবলির আগের রাত থেকে বায়ু-মান ক্রমাগত অবনতি ঘটছে। ইতিমধ্যেই বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ কার্যকর হয়েছে এবং বর্তমানে তৃতীয় ধাপ অনুসারে কঠোর বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালত শহরের বায়ুগুণ আরও খারাপ হওয়ার আগেই শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই শহরের দূষণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
Advertisement
শুধু বেসরকারি নয়, সরকারি ক্ষেত্রেও বদল আনা হচ্ছে। যানবাহনের ধোঁয়া কমাতে, শহর প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের জন্য নির্দেশ জারি হয়েছে। প্রশাসনের অধীনে একটি অংশের দপ্তরে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাজ চলবে, অন্য অংশের দপ্তরে সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত কাজ করতে হবে। উদ্দেশ্য—ব্যস্ত সময়ে সড়কে যানসংখ্যা কমিয়ে ক্ষুদ্র কণার দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা।
Advertisement
পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা জানিয়েছেন, দূষণ-রোধে কার্যকর ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর করাই তাঁদের অগ্রাধিকার। তাঁর কথায়, বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্থার দুই হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত পরিদর্শনে নেমেছেন। এখনও পর্যন্ত এক হাজার দু’শোরও বেশি নির্মাণ প্রকল্প ও দূষণ-সৃষ্টিকারী শিল্প স্থানে হানা দিয়ে দুই শতাধিক ক্ষেত্রে জবাবদিহির নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং পঞ্চাশেরও বেশি প্রকল্প তৎক্ষণাৎ বন্ধের নির্দেশ পেয়েছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির মানুষের শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষায় এই মুহূর্তে কঠোরতম ও নিরবচ্ছিন্ন হস্তক্ষেপই একমাত্র পথ। বায়ুর মান দ্রুত উন্নত না হলে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
Advertisement



