সাইবার ক্রাইম যেভাবে থাবা বসাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দুনিয়া। বিশেষত আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিপদ চরমে পৌঁছেছে। এই নয়া বিপদ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের অপরাধ দমন শাখাও। নানারকম কৌশলে সাধারণ মানুষের পুঁজি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আত্মসাত করা এখন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাইবার ক্রাইম নিয়ে তদন্তে নেমে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হাতে যে তথ্য এসেছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। গোয়েন্দা ও বিশেষজ্ঞদের হাতে যে তথ্যপ্রমাণ মিলছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, মূলত ব্যাঙ্ককর্মী এবং ব্যাঙ্কের হয়ে যাঁরা সরাসরি কাজ করে থাকেন সেই তৃতীয় পক্ষ মারফত ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন নথি ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সরকারের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নির্দিষ্টভাবে জানতে পেরেছে যে, ব্যাঙ্কের কর্মী ও তৃতীয় পক্ষের কাছে অত্যন্ত সুরক্ষিত থাকা তথ্য আদানপ্রদানে কোনও বাধা থাকছে না। ব্যাঙ্কের সমস্ত গোপনীয় তথ্য অবাধ হাতবদল অর্থাত অ্যাক্সেস পাওয়ার কারণেই বাইরে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। আর এরই ফাঁকফোকর দিয়ে অপরাধীরা তথ্য হাতিয়ে গ্রাহকদের প্রতারণার জালে ফেলছে। যার ফল দাঁড়াচ্ছে, গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকা মুহূর্তের মধ্যে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। শীর্ষস্তরের এক সরকারি আধিকারিক এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, আউটসোর্স করা কর্মী, তৃতীয় পক্ষ এবং ব্যাঙ্ককর্মীদের হাতে অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য সহজেই চলে আসছে। যে অ্যাক্সেস তাঁদের থাকার কথা নয়, তা এখন তাদের হাতের মুঠোয় চলে আসছে।
এই তথ্য হাতে আসার পরই সরকারের উচ্চ স্তরে হৈ হৈ পড়ে যায়। এই বিষয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি গোপন বৈঠক বসে। যেখানে এই ভয়ানক সঙ্কটের সমাধান কী হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়।