তালোজা থেকে ছাড়লেই মারা পড়ব, আবু সালেমের আবেদনে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ আদালতের

Written by SNS May 20, 2024 5:52 pm

মুম্বই, ২০ মে– প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন লক্ষ-লক্ষ মানুষকে মৃতু্যর মুখে ঠেলে দেওয়া মুম্বই হামলার আসামি আবু সালেম৷ আদাততে এমনটাই আর্জি জানিয়েছেন আবু সালেম৷ সালেমের আবেদনের প্রেক্ষিতে তালোজা জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ পাঠাল বিশেষ আদালত৷ বলা হল, পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া যেন অন্য কোনও জেলে সালেমকে স্থানান্তর করা না হয়৷
বিশেষ আদালতের কাছে সালেমের আবেদন ছিল, তালোজা জেল সুপারকে যেন আদালত নির্দেশ দেয় যে তাঁকে অন্য কোনও জেলে না পাঠানো হয়৷ কারণ অন্য কোথায় পাঠালেই তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে৷ উল্লেখ্য, ১৯ বছর আগে পর্তুগাল তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের পর থেকে কারাবাসেই রয়েছেন সালেম৷ আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, তালোজা জেল থেকে তাঁকে শীঘ্রই ছেডে় দেওয়া হবে৷ এই খবর জানার পর থেকেই কয়েক জন তাঁকে হত্যার ছক কষছেন৷ আদালতে সালেম আবেদনে জানিয়েছেন, তালোজা জেলের সংস্কার এবং নিরাপত্তাজনিত কিছু কারণে তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হতে পারে৷ কিন্ত্ত তিনি আপাতত ওই জেলেই থাকতে চান৷ আদালত আগামী ২৮ মে-র মধ্যে এ ব্যাপারে তালোজা জেল সুপারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে৷ তত দিন ওই জেলেই থাকবেন সালেম৷
১৯৯৩-এর ১২ মার্চের সেই ঘটনা আজও মুম্বইকে কাঁপিয়ে দেয়৷ এদিন দুপুর দেড়টা থেকে তিনটে চল্লিশের মধ্যে মোট বারো বার কেঁপে উঠেছিল দেশের বাণিজ্যনগরী৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃতু্য হয়েছিল ২৫৭ জনের৷ আহত হন সাতশোরও বেশি মানুষ৷ ঘটনার তদন্ত শুরুর পর সিবিআই জানায় হামলার পেছনের মূল ষড়যন্ত্রী হল দাউদ ইব্রাহিম এবং টাইগার মেমন৷ ‘টেররিস্ট অ্যান্ড ডিসরাপটিভ অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট’ বা টাডা আদালতে শুরু হয় জঙ্গি হামলার শুনানি৷ দাউদ বা টাইগারের হদিও না পেলেও আবু সালেম, ফিরোজ আব্দুল রশিদ খান, তাহের মার্চেন্ট, করিমুল্লা খান, মুস্তাফা দোসা, রিয়াজ সিদ্দিকি-র মতো চক্রীদের দোষী সাব্যস্ত করে টাডা আদালত৷ বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতু্য হয় মুস্তাফার৷ অন্য দিকে, হামলায় ব্যবহূত অস্ত্র গুজরাত থেকে মুম্বই আনার দায়িত্ব থাকা সালেমকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৫ সালে৷ বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে একে-৪৭-এর মতো আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন সালেম৷ বেআইনি অস্ত্র মামলায় জেল খাটেন সঞ্জয়৷ সালেম পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভারত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন৷ ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ধরা পডে়ন তিনি৷ ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে পর্তুগাল থেকে প্রত্যর্পণ করা হয় তাঁকে৷ সেই থেকে গত ১৯ বছর ধরে তিনি জেলেই আছেন৷