মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের আঞ্জুমান ইসলামিয়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নির্দেশিকা জারি করেছে যে, এবার থেকে রবিবারের পরিবর্তে জুম্মাবার অর্থাৎ শুক্রবার করে স্কুলটিতে ছুটি থাকবে। এই নির্দেশিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে বিতর্ক চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। বিজেপির তরফ থেকে এই ধরনের নির্দেশিকাকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালের তরফ থেকে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছে স্কুলের পক্ষ থেকে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজে স্কুল কর্তৃপক্ষের সই করা একটি নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসে বলা হয় এবার থেকে স্কুলের সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার করে। রবিবার অন্যান্য দিনের মত নিয়মিত ক্লাস হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা। ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাড়াতে।
Advertisement
এই ঘটনার পর চরম বিক্ষোভ শুরু হয়। পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা এই সিদ্ধান্তে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ এনেছেন যে, রবিবারের ছুটিতে তাঁরা নিজেদের সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। রবিবার গোটা শহরের বেশির ভাগ মানুষের ছুটি থাকে। এর ফলে সেইদিন বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো অসুবিধাজনক। অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে যে, ধর্মকে সামনে রেখে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। এই বিতর্কের মাঝেই স্কুল ট্রাস্টের অধ্যক্ষ বলেছেন, জুম্মার দিন নামাজ পড়ার জন্য অনেক পড়ুয়া স্কুলে আসে না। ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম থাকায় পঠনপাঠন ব্যহত হয়। স্কুলটি মুসলিমপ্রধান এলাকায় রয়েছে বলে শুক্রবার করে ক্লাসে পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেক কম থাকে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলতে থাকায় বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
গোটা ঘটনায় বিজেপি সরব হয়ে উঠেছে। বিধায়ক রামেশ্বর শর্মা বলেছেন, স্কুল কবে বন্ধ রাখা হবে সেটা ধর্মগুরুরা ঠিক করতে পারেন না। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সংবিধানকে অমান্য করে কিছু করা যাবে না। সব স্কুল যদি নিজেদের সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী ছুটি ঘোষণা করে তাহলে সারা রাজ্যে অব্যবস্থা চরম আকার নেবে। সব স্কুলকেই নির্দিষ্ট আইন মানতে হবে। আঞ্জুমান ইসলামিয়া স্কুল শুক্রবারের ছুটি বাতিল না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
Advertisement



