মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সক্ষম : কমল নাথ

মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে বিজেপিতে যােগ দেওয়ায় রাজ্যের কমলনাথ নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার বেশ বেকায়দায় পড়েছে।

Written by SNS Bhopal | March 13, 2020 1:12 pm

কমল নাথ (File Photo: IANS)

মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে বিজেপিতে যােগ দেওয়ায় রাজ্যের কমলনাথ নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার বেশ বেকায়দায় পড়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকে কংগ্রেস নেতার দলত্যাগ নিয়ে কমল নাথ’কে হাজারাে প্রশ্নের জবাবদিহি করতে হলেও মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সফল হবেন বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য ১৫ মার্চ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে ভােটাভুটি হবে। মুখ্যমন্ত্রী এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, হােলির দিন যে ২২ বিধায়ক পদত্যাগ করেন তাদের সঙ্গে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর যােগাযােগ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি সংশ্লিষ্ট বিধায়করা পদত্যাগই করতে রাজি তবে ভােপাল ত্যাগ করার কি দরকার। তারা এসে তাদের পদত্যাগ পত্র দাখিল করুন। তাদেরকে আটকে রাখা হয়েছে। না হলে তারা এখনই ভােপালে চলে আসবেন।

কমল নাথ জানান, পদত্যাগের আগে পর্যন্ত তিনি সকল সময় জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে যােগাযােগ রেখে কাজ করেছেন। এমনকী দশ দিন আগেও দিল্লিতে জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে দেখা হয়েছে এবং বিজেপি যে ভােপালের কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে তা নিয়েও আলােচনা হয়েছে। মার্চের ৭ তারিখ পর্যন্ত জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে যােগ ছিল, কিন্তু তাঁর জ্বর হয়েছে বলায় ফোন লাইন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগ কংগ্রেসের নবীন নেতারা সহজভাবে নিতে পারছেন না। রাজস্থানের নবীন কংগ্রেস নেতা এবং উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, জ্যোতিরাদিত্যর দলত্যাগ খুবই দুর্ভাগ্যের। দলের মধ্যেই আলােচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নিলেই সবদিক থেকে ভাল হত। হরিয়াণার অন্য নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই জানান, দলের অসন্তুষ্ট নেতাদের বােঝানাের দায়িত্ব হাইকমান্ডের।

জ্যোতিরাদিত্যকে দলে আটকে রাখতে না পারাটা একটা ব্যর্থতা হিসেবেই গণ্য হবে। জ্যোতিরাদিত্যর দলত্যাগের ফলে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা আরও হ্রাস পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। জ্যোতিরাদিত্যর মতাে বহু নেতার গুরুত্বকে আমল না দেওয়ার ফলেই কংগ্রেসের হাল এমন তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। কংগ্রেসে এখন উচিত তরুণ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া, যারা কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন এবং মানুষের সঙ্গে যােগাযােগ স্থাপন করে কংগ্রেসের গৌরবের দিন ফিরিয়ে আনতে পারবেন।