‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশ থেকে দেশরক্ষার আহ্বান কংগ্রেসের

এনআরসির প্রতিবাদে উত্তাল দেশ, তার মধ্যেই উত্তেজনার পারদকে আরও একধাপ চড়িয়ে রামলীলা ময়দানে ভারত বাঁচাও সমাবেশ থেকে দেশকে রক্ষা করার আহ্বান দিল কংগ্রেস।

Written by SNS New Delhi | December 15, 2019 1:50 pm

রাহুল গান্ধি (Photo: IANS)

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ, তার মধ্যেই উত্তেজনার পারদকে আরও একধাপ চড়িয়ে রামলীলা ময়দানে ভারত বাঁচাও সমাবেশ থেকে দেশকে রক্ষা করার আহ্বান দিল কংগ্রেস। দলের মেগা জনসভায় মনমােহন সিং, রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, পি চিদম্বরম, অশােক গেহলট, শচিন পাইলট সহ কংগ্রেসের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রামলীলা ময়দানে ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের মঞ্চে কংগ্রেস সভানেত্রী সােনিয়া গান্ধি বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তাদের সকলকে ন্যায় দেওয়া হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি দেশভাগের লক্ষে মানুষে মানুষে বিদ্বেষ তৈরি করার লক্ষ্যে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করেছে। তিনি বলেন, কেন্দ্র নাগরিকত্ব বিল নিয়ে এসেছে, যা সমগ্র দেশকে ধ্বংস করে দেবে। উত্তরপূর্বেও এমনটা করা হয়েছে। কিন্তু আমি সকলকে নিশ্চিত করে বলছি, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যায়ের কোপে পড়েছেন, কংগ্রেস তাদের পাশে দাড়াবে’।

ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিনিয়ত সংবিধান লঙ্ঘন করছে বলে অভিযােগ করে সােনিয়া গান্ধি বলেন, দেশে এমন পরিস্থিতি তৈর করা হয়েছে, যেখানে মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ‘সবকা সাথ সকা বিকাশ’ কোথায়? অন্যায়কে সহ্য করা একটা অপরাধ, এখন সময় এসেছে দেশ ও সংবিধানকে রক্ষা করার’।

পি চিদম্বরম জনসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মােদি সরকার ছ’মাসের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে পুরাে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রতিদিন একটা না একটা খারাপ খবর দেওয়া হচ্ছে’। কংগ্রেস নেতা ও ওয়ানডের সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেন, ‘আমি সত্যি কথা বলার জন্য কোনওদিন ক্ষমা চাইবেন না। মােদি ও তাঁর সহকারী অমিত শাহের দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। দেশের অর্থনীতি ধবংস হওয়ার জন্য কোনও শত্রু দেশ দোষী নয়, খােদ প্রধানমন্ত্রী মােদি নিজেই দোষী’।

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেন, ‘কেন্দ্রের সরকার দেশের মানুষ ও তাদের ভাবাবেগকে তােয়াক্কা করে না। আমি সকলকে আর্জি করব মােদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে একজোট হতে। যদি কেউ এগিয়ে না আসেন, তাহলে বেশি দেরি নেই। আম্বেদকরের সংবিধানকে এই সরকার ধ্বংস করে দেবে’। তিনি বলেন, ‘ছ’বছরের মােদি জমানায় ব্যবসায়ীরা জিএসটি’র কারণে ক্ষতির মুখ দেখছেন। তারা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকরাও হতাশ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে, আমরা যদি এখনও নীরব থাকি তাহলে দেশের সংবিধান ধ্বংস করে দেওয়া হবে, দেশে ভাঙন শুরু হবে। যদি কেউ দেশকে ভালােবাসেন, তাহলে প্রতিবাদী হয়ে উঠুন’।