লাদাখে সাংবাদিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপির পক্ষে প্রচারের জন্য এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সরাসরি ঘুষ দেওয়ার অভিযােগ উঠল।

Written by SNS Srinagar | May 9, 2019 1:01 pm

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র (Photo: iStock)

কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপির পক্ষে প্রচারের জন্য এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সরাসরি ঘুষ দেওয়ার অভিযােগ উঠল।

এই অভিযােগ করার জন্য লেহ’র এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে জম্মু কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান রবীন্দর রায়না এক সাংবাদিক ও দলের এক বিধায়ক বিক্রম রণধাওয়াকে নিয়ে সাংবাদিকদের একটি করে খাম দিতে দেখা গিয়েছে।

লেহ’র প্রেস ক্লাবের সদস্যরা স্থানীয় নির্বাচনী অফিসারকে বিজেপির রাজ্য সভপতি রবীন্দর রায়নার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার হােটেল সিগ্পে প্যালেসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে লিখিত অভিযােগ করেছেন।

কিন্তু রাজ্য বিজেপির পক্ষে অভিযােগ অস্বীকার করে জানানাে হয়েছে যে, সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য খামে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হচ্ছিল। অভিযােগকারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হবে বলে জানানাে হয়েছে।

রিচেন অ্যাগমাে নামে এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিজেপির এক প্রবীণ নেতা চারজন সাংবাদিককে খাম দেওয়া হয় এবং তাঁকেও এই খাম দেওয়া হয়েছে বিজেপি সভাপতির সামনেই। বিজেপি নেতাটি সম্মেলন কক্ষে থামটি না খােলার জন্য অনুরোধও করেন বলে ওই সাংবাদিক দাবি করেন।

‘কিন্তু অনুসন্ধিৎসার কারণে খুমটি খুলে ফেলি। ভেতরে ৫০০ টাকার একটি নােট রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে টাকা সমেত খামটি বিজেপি নেতাকে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু তিনি তা ফেরত নিতে অস্বীকার করেন। সেকারণে খামটি টেবলে রেখে দিই। সিসিটিভিতেও মহিলা সাংবাদিরে টেবলে খাম রাখার বিষয়টি ধরা পড়ে। কিন্তু বিজেপি নেতা সংশ্লিষ্ট ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘বিজেপি ঘুষ দেওয়াতে বিশ্বাস করে না। সাংবাদিকদের বিজেপি উচ্চমর্যদা দিয়ে থাকে। বিজেপি কখনও এমন কাজ করে না এবং ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা আর ঘটবে না’ বলে তিনি দাবি করেন।

কিন্তু মহিলা সাংবাদিকের অভিযােগ পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রাথমিক অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন, মহিলা সাংবাদিকের অভিযােগ আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য লেহ লাদাখ অঞ্চলে পঞ্চম দফায় সােমবার ৬ মে ভােটগ্রহণপর্ব শেষ হয়। এখানে চারমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বিজেপির সেরিং, কংগ্রেসের লিজিং স্যাম্পলবার, পিপলস ডেমােক্রেটিক পার্টি ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাজ্জাদ হুসেন এবং নির্দল প্রার্থী আসগর আলি কাবালাইয়ের মধ্যে।

লাদাখ নির্বাচন ক্ষেত্রে মুসলিমদেরই সংখ্যাধিক্য। কিন্তু কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় দলই বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাসী এক ব্যক্তিকে প্রার্থী করছে।

২০১৪ সালে লােকসভা নির্বাচনে বিজেপি লাদাখে কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করে মাত্র ৩৬ ভোটের ব্যাবধানে। চলতি সময়ে বিজেপি সাংসদ থুপসান চেওয়াং দলত্যাগ করায় পার্টি বেকায়দায় পড়ে যায়। এছাড়া, অন্যান্য বিজেপির প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাও দল ত্যাগ করেন।