• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

তদন্ত করেছিলেন হাথরস মামলায়, সেই সীমাকেই আরজি কর কাণ্ডে দলে নিল সিবিআই

কাজের জন্য ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট পুলিশ মেডেল পান সীমা

২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ। ৪ জন উচ্চবর্ণের ব্যক্তির বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। এই কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার হিসেবে সামনে এসেছিল সিবিআই অফিসার সীমা পাহুজার নাম। এবার তাঁকেই আরজি কর কাণ্ডের তদন্তকারী দলে যুক্ত করা হল।

কাজের জন্য ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট পুলিশ মেডেল পান সীমা। হাথরস ছাড়াও তিনি আরও কয়েকটি মামলার তদন্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে এক চিকিৎসক–তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ১ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । বর্তমানে মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । ধৃতকে ইতিমধ্যেই হেপাজতে নিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সোমবার পর্যন্ত ৪ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে আরজি কর কাণ্ডে সীমাকে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করার খবর সামনে এল।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের পর মাঠে ফেলে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বাড়ির লোকজন সেই মাঠ থেকেই তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেই সময় তাঁর কাঁধে ও গোপনাঙ্গে গভীর আঘাত ছিল। ১১ দিন লড়াইয়ের পর দিল্লির হাসপাতালে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে গ্রামে নিয়ে গিয়ে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ও সরকারি কর্তাদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়। এই মামলায় সিবিআইয়ের ১৪ সদস্যের বিশেষ দলের নেতৃত্বে ছিলেন সীমা পাহুজা। জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদে তিনি সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোয় কর্মরত ছিলেন।

Advertisement

Advertisement