ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ওড়িশার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডেপুটি ডিরেক্টর চিন্তন রঘুবংশীকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার ওড়িশার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই আধিকারিক। ২০১৩ সালের ব্যাচের আইআরএস অফিসার চিন্তন রঘুবংশী। একটি দুর্নীতির মামলার তদন্তে রতিকান্ত রাউত নামে এক ব্যবসায়ীকে গত মার্চ মাসে ভুবনেশ্বরের ইডি অফিসে দেখে পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাউতের নামে থাকা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ঘুষ চাওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর সিবিআইয়ের কাছ অভিযোগ জানান ওই ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, ‘৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল। ইডি অফিসার চিন্তন রঘুবংশী এক তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।’ ইডি অফিসারের কথামতো তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন রাউত। তখন তাঁকে জানানো হয়, ৫ কোটি টাকা ঘুষ দিলে মামলা তুলে নেওয়া হবে। ফলে জেলযাত্রার হাত থেকেও বেঁচে যাবেন তিনি। যদিও এই টাকা দিতে রাজি ছিলেন না ওই ব্যবসায়ী।
শেষ পর্যন্ত ওই ইডি অফিসারের সঙ্গে ২ কোটি টাকার ‘ডিল’ হয়। এর মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর চিন্তন রঘুবংশী রাউতের কাছ থেকে ঘুষের প্রথম কিস্তি নিতে যাচ্ছিলেন। তখনই খবর পেয়ে সংস্থাটি একটি ফাঁদ অভিযান চালায়। এরপর ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর চিন্তন রঘুবংশীকে গ্রেপ্তার করা হয়।