কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের গোড়ার দিকে ভারত সফর করতে পারেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে কার্নির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা হয়েছে। জোহানেসবার্গে দ্বিপাক্ষিক সেই বৈঠকের সময় রবিবার মোদী কার্নিকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, পণ্য, পরিষেবা, বিনিয়োগ, কৃষি, ডিজিটাল বাণিজ্য, গতিশীলতা এবং স্থিতিশীল উন্নয়ন-সহ একটি সর্বাঙ্গীণ অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (সিইপিএ) বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে আলোচনা শুরু করতে দু’পক্ষই সম্মত হয়েছেন।
কার্নির এই সফরের মধ্যে দিয়ে নতুন করে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২৩-২৪ সালে যখন ভারত ও কানাডার সম্পর্ক ঠেকেছিল। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সেই সম্পর্ক কিছুটা মেরামত হয় দুই দেশের আগ্রহে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জি-২০ সামিটে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার লক্ষ্যে আলোচনা শুরুর বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন এই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
Advertisement
ভারতের বিদেশমন্ত্রক এক্স হ্যান্ডলে মার্ক কার্নির ভারত সফরের খবরটি নিশ্চিত করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের বাণিজ্য বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে উভয় দেশই। সেই অঙ্ক প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার ছোঁয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কানাডার মন্ত্রী অনিতা আনন্দ এবং মনিন্দর সিং সিধু দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন।
Advertisement
সূত্রের খবর, মন্ত্রীস্তরে আরও বৈঠক হবে। খালিস্তানি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না নিলে কানাডা ও ভারতের মধ্যে আগের মতো সম্পর্ক ফিরবে না, এটা স্পষ্ট। এদিকে ব্যবসায়িক দিক থেকেও দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া জরুরি। পড়ুয়া, বিনিয়োগ, আইটি সেক্টরে বিনিয়োগ-ইত্যাদি একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের বাজার ক্যানাডার জন্য প্রয়োজন। মার্ক কার্নির সরকার সেদিকে তাকিয়েই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছে নানা মহল।
Advertisement



