• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আজ ঢাকায় বিএসএফ-বিজিবি বৈঠক

আলোচনায় উঠতে পারে অনুপ্রবেশ ও ‘পুশ-ইন’ প্রসঙ্গ

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-র শীর্ষ বৈঠক। ২৫ থেকে ২৮ আগস্ট– চার দিনব্যাপী এই বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জঙ্গি দমন, সীমান্ত অপরাধ দমন এবং অনুপ্রবেশসহ একাধিক সংবেদনশীল ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এটি দ্বিতীয় বৈঠক। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিংহ চৌধরি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবির মহাপরিচালক মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

Advertisement

বিএসএফের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যে বিষয়গুলি থাকবে, সেগুলি হল—

Advertisement

বাংলাদেশে ভারতীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যকলাপ রুখতে পদক্ষেপ

সীমান্তের অবকাঠামো উন্নয়ন

বিএসএফ জওয়ান এবং ভারতীয় নাগরিকদের উপর হামলা প্রতিরোধ

সীমান্তে বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা

যুগ্মভাবে সীমান্ত পরিচালনার নতুন কৌশল

যদিও ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে সরাসরি কিছু বলেনি ভারত। তবে সূত্রের খবর, আলোচনার টেবিলে এই বিষয়টিও উঠতে পারে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার-এর দাবি, ভারত থেকে অবৈধভাবে মানুষ পাঠানোর (পুশ-ইন) অভিযোগ বৈঠকে তুলতে পারে বিজিবি। বাংলাদেশের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৭ মে থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ভারত থেকে ২,১৯৬ জনকে সীমান্ত পার করে পাঠানো হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ৩৯ জন মায়ানমারের নাগরিক।

যদিও বিজিবির দাবি, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন। এছাড়া সীমান্তে গুলি চালানো বা হত্যার প্রসঙ্গও তুলতে পারে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ায় এই আলোচনায় সেই বিষয়টিও গুরুত্ব পেতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা।

প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ বৈঠকের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠক প্রথমে বছরে একবার হতো। পরে ১৯৯৩ সালে সিদ্ধান্ত হয় বছরে দু’বার করে বৈঠক হবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে হওয়া বৈঠকে সীমান্তে বেড়া নির্মাণ ও পরিকাঠামোগত সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছিল। এ বার ঢাকার বৈঠক থেকে কোন বার্তা আসে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement