এক তরুণীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের লোনি এলাকায়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্যাতিতাকে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তরুণী। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী। চিকিৎসার পাশাপাশি তাঁর কাউন্সেলিংও চলছিল।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। এর আগেও তিনি এমন কাণ্ড ঘটান। পরিবারের লোকজন এবং পড়শিরা সেই সময় অবশ্য তাঁকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনেন। তবে এবার অনেক খুঁজেও তরুণীর খোঁজ মিলছিল না। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার দূরে নিঠোরি গ্রামে একটি টিউবওয়েলের সামনে বিবস্ত্র এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তরুণীকে।
Advertisement
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘মেয়ের পোশাক ছেঁড়া ছিল। শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতের দাগ।’ নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছিল। কিছু বুঝতে না পেরে ও তিন যুবকের কাছে সাহায্য চায়। তখন তাঁরা মেয়েকে বাইকে করে বাড়ি নামিয়ে দেবে বলে জানায়। লোনিতে তাকে না নিয়ে গিয়ে নিঠোরি গ্রামে নিয়ে আসে। তারপর তাকে তিন জন মিলে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে ফেলে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
Advertisement
পরে পরিবারের লোকেরা তরুণীকে উদ্ধার করেন। ১৯ আগস্ট দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস-এ নির্যাতিতাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। ২০ আগস্ট তাঁকে হাসপাতালে থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। তারপর বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তরুণীকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁর সাড়াশব্দ মিলছিল না। পরে দরজা ভেঙে নির্যাতিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার পরিবার ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
Advertisement



