দেহ মিলল ক্যাফে কফি ডে’র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থের

বুধবার মেঙ্গালুরুর নেত্রাবতী নদীর পার থেকে উদ্ধার হল ক্যাফে কফি ডে’র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থের নিহর দেহ।

Written by SNS Bengaluru | August 1, 2019 2:52 pm

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা ক্যাফে কফি ডে'র প্রতিষ্ঠাতা ভি জি সিদ্ধার্থের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। (Photo: IANS)

বুধবার মেঙ্গালুরুর নেত্রাবতী নদীর পার থেকে উদ্ধার হল ক্যাফে কফি ডে’র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থের নিহর দেহ। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেশ জুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে সংস্থার কাউন্টারগুলি। কর্ণধারের অকাল মৃত্যুতে শােকাহত সংস্থার কর্মীরা।

মেঙ্গালুরুর নেত্রাবতী নদী থেকে আজ ভাের বেলায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মেঙ্গালুরুর হাসপাতালেই ময়না তদন্তের জন্য তাঁর দেহ পাঠান হয়েছে। মেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বুধবার সকালে নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানান হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ওয়েনলক হাসপাতালে পাঠান হয়েছে দেহ।

নেত্রাবতী নদীর উপরে তল্লাশি অভিযান চলার সময় সেতুর একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ে স্নিফার ডগ। উপকূলরক্ষী বাহিনী ওই জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। বুধবার সকালেই উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ।

সােমবার রাত থেকে নিখোঁজ থাকার পর বুধবার সকালে পুলিশ খুঁজে পায় ক্যাফে কফি ডে’র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থের দেহ। বুধবার ভাের ৬ টা নাগাদ মৎস্যজীবীদের একটি দল নেত্রবতী নদীর পারে দেখতে পায় সিদ্ধার্থের নিথর দেহ।

স্থানীয় এক মৎস্যজীবী পুলিশকে জানান, নদীতে একজনকে ঝাপ দিতে দেখেছে সে। অনেক চেষ্ঠা করেও সে সঠিক সময় পৌঁছতে পারেনি তাঁর কাছে। এর পরেই সিদ্ধার্থের আত্মহত্যার সন্দেহ প্রকট হয়ে ওঠে পুলিশের কাছে। সােমবার রাত থেকেই নেত্রাবতী নদী ও তার সংলগ্ন এলাকায় উদ্ধারকাজ জোরদার করে পুলিশ।

সিসিডি সংস্থার কর্ণধারের আত্মহত্যার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত সংস্থার কর্মীদের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠি থেকে। চিঠিতে সিদ্ধার্থ লিখেছেন, ‘সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও আমি লাভ ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার দায়িত্বেই প্রত্যেকটি আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। আইনের কাছে একমাত্র আমিই জবাবদিহি করতে বাধ্য’।

চিঠির বয়ান দেখে পরিষ্কার বােঝা যাচ্ছে ব্যবসায় লাভ হচ্ছিল না সিদ্ধার্থের। ২০১৭ সালে সিদ্ধার্থের সংস্থায় হানা দেয় আয়কর দফতর। চলতি বছরেই মাইন্ডট্রি নামক সংস্থায় তার ২০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেন।

সিসিডি কর্ণধারের অকাল মৃত্যুর জন্য কর্নাটক কংগ্রেস দায়ী করেছে আয়কর দফতরের দায়িত্বজ্ঞানহীন অফিসারদের। কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে টুইটে অভিযােগ করা হয়েছে, ‘ভি জি সিদ্ধার্থের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আয়কর দফতরের কর্তাদের লাগাতাল হেনস্থার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। যে ভাবে আয়কর হানাদারের জুজু দেখানাে ঘটনা বাড়ছে তাতে শিল্প ও ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির বিকাশে’।

সূত্রের খবর, সােমবার রাতে বেঙ্গালুরু থেকে সকলেশপুরের দিকে যাচ্ছিলেন সিসিডি’র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থ। মাঝ পথে হঠাৎ গাড়ির চালককে মেঙ্গালুরুর দিকে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঘােরাতে বলেন। মালিকের নির্দেশ শুনে চালক বাসবরাজ পাটিল মেঙ্গালুরুর দিকে গাড়ি ঘােরান।

মেঙ্গালুরুর নেত্রাবতী নদীর উপরে সেতুতে গাড়ি পৌঁছলে গাড়ি থামাতে বলেন সিদ্ধার্থ। গাড়ি থেকে নেমে চালককে বলেন, একটু হেঁটে আসি। তারপর থেকেই নিখোঁজ সিসিডি সংস্থার কর্ণধার। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার জামাইয়ের নিখোঁজের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গােটা দেশে।