শনিবার থেকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আসে যৌন হেনস্থার অভিযােগের খবর নিয়ে সারা দেশ তােলপাড়।আদালতের তরফ থেকে সমস্ত অভিযােগ ‘অস্বীকার’ করে বলা হয়,সেগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কুৎসিত।অভিযােগকারিণী এক ৩৫ বছরের মহিলা কোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে,সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিচারপতি এস ও বােবদেকে সিদ্ধান্ত নিতে বললেন প্রধান বিচারপতি।
সুত্রের খবর,সােমবার বিচারপতিদের এক ঘরােয়া বৈঠকে।সেখানেই ঘটনার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিচারপতি এস ও বােবদেকে।বর্তমান বিচারপতির মেয়াদ ফুরােলে আগামী নভেম্বরে দেশের প্রধান বিচারপতির পদের দৌড়ে বিচারপতি বোবদেও রয়েছেন।
২০এপ্রিল কোর্টের আইনজীবীদের দু’টি সংগঠন দাবি করে রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযােগের ভিত্তিতে প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ নিক শীর্ষ আদালত।অন্যদিকে,সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযােগ ওঠার অব ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মুখ খুললেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর সমর্থনে অর্থমন্ত্রী তাঁর ব্লগে লেখেন, বিচারব্যবস্থার পাশে দাড়ানাের সময় এটা।
‘একজন বিচারপতিকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে এবং পেশাগত জীবনে চিরকাল অন্যেরা বিচার করে যান।যতবার তিনি কোনও মন্তব্য করেন অথবা কোনও মামলায় রায় দেন,তাঁর প্রতিটা শব্দ কিংবা অক্ষর যাচাই করেন।শিষ্টাচার,মূল্যবোধ,নৈতিকতার নিরিখে বিচার করলে বর্তমান প্রধান বিচারপতি একজন সম্মানীয় ব্যক্তি।সমালােচকরা তাঁর রায় নিয়ে সহমত না হলেও তাঁর মূল্যবােধ নিয়ে প্রশ্ন তােলেন না কেউ’,নিজের ব্লগে লিখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।অভিযােগ আসার পরেই গত শনিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এক বিশেষ বৈঠক ডাকেন।বলা হয়,বিচার ব্যবস্থার ভাবমুর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ সম্পাদকের দফতর থেকে জানানাে হয়েছে যে ‘চারটি মিডিয়া সংস্থা- লিফলেট,দ্য ওয়ায়ার,ক্যারাভান এবং স্ক্রোল ইন এর পক্ষ থেকে ই-মেল আসে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরের আবেদন করা হয়।’ জবাবে আদালতের তরফ থেকে সমস্ত অভিযােগ ‘অস্বীকার’ করে বলা হয়,সেগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কুৎসিত।প্রধান বিচারপতি নিজেও বলেন,“চারটি অনলাইন প্রকাশনার তরফে আমার সঙ্গে যােগাযােগ করা হয়-ক্যারাভান,লিফলেট,স্ক্রোল এবং ওয়ায়ার।তারা অভিযােগের বিরুদ্ধে আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চায়।জবাব দেওয়ার জন্য আমাকে ১২ ঘণ্টাও সময় দেওয়া হয়নি।সেক্রেটারি জেনারেলের তরফে অভিযােগ অস্বীকার করে জবাব দেওয়া হয়।’