উত্তর প্রদেশের সম্ভলে এক বিজেপি নেতাকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে বিষ দিয়ে হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। নিহত নেতার নাম গুলফাম সিং যাদব। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি সমাজবাদী পার্টির তৎকালীন সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। কেন খুন করা হল বিজেপি নেতাকে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দুষ্কৃতীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি। বিজেপি ও আরএসএস কর্মীদের তরফে খুনিদের কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের তরফ জানা যাচ্ছে, সোমবার সম্ভলের দফতরা গ্রামে নিজের বাড়িতেই ছিলেন গুলফাম। দুপুরে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তিন যুবক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ওই যুবকদের মধ্যে একজন বিজেপি নেতার কাছে জল খেতে চান। গুলফাম উঠতেই একজন যুবক তাঁর পেটে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন ফুটিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চম্পট দেন। শরীরে বিষাক্ত তরল প্রবেশের পর থেকেই বিজেপি নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিগড় মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সুপার কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোই, এএসপি অনুকৃতি শর্মা-সহ আরও পুলিশ আধিকারিকরা ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে যান। ঘটনাস্থল থেকে একটি হেলমেট, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ উদ্ধার হয়েছে, যা পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন হত্যাকারীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। ৬৬ বছর বয়সি গুলফাম উত্তর প্রদেশ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। গত ২১ বছরে দলের নানান গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বভার সামলেছেন গুলফাম।