কেন্দ্রের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি বোড়ো সংগঠনের

ন্যাশনাল ডেমােক্রেটিক ফ্রন্ট অব বােড়োল্যান্ড-এর সঙ্গে সরকার এদিন দিল্লিতে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

Written by SNS New Delhi | January 28, 2020 4:23 pm

ন্যাশনাল ডেমােক্রেটিক ফ্রন্ট অব বােড়োল্যান্ড-এর সঙ্গে সরকার এদিন দিল্লিতে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। (Photo: IANS/PIB)

ন্যাশনাল ডেমােক্রেটিক ফ্রন্ট অব বােড়োল্যান্ড-এর সঙ্গে সরকার এদিন দিল্লিতে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এদিনের এই চুক্তিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক ঐতিহাসিক চুক্তি বলে বর্ণনা করেছেন। অসমের আন্দোলনকারী এই গােষ্ঠীকে সরকার নিষিদ্ধ ঘােষণা করেছিল।

দশব্যাপী পৃথক বোড়োল্যান্ডের দাবিতে সংশ্লিষ্ট সংগঠনটি আন্দোলন চালিয়েছে, এর ফলে বহু মানুষের প্রাণ হানি হয়েছে। চুক্তির ফলে বিটিএডি’র নাম পরিবর্তন করে বোড়েল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকার এক ব্যাপক কর্মসুচিরও ঘােষণা করেছে। এজন্য দেড় হাজার কোটি টাকার এক প্যাকেজ ঘােষণা করা হয়েছে।

অসমের মন্ত্রী এবং বিজেপির উত্তরপূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এদিন সাংবাদিকদের একথা জানান। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক চুক্তির ফলে সংশ্লিষ্ট বােড়ো অধ্যুষিত অঞ্চল ও সামগ্রিকভাবে অসমের উন্নয়ন হবে।

বর্তমানে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সকল গােষ্ঠীই এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় আগের অস্বস্তির পরিস্থিতি আর রইল না। পূর্বে তিনটি গােষ্ঠী এর বাইরে ছিল। ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সৰ্বানন্দ সােনােয়াল, এনডিএফবি, আবসু এবং কেন্দ্রীয় সন্ধার স্বাক্ষর করে। অল বােরাে স্টুডেন্টস ইউনিয়নও এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পৃথক রাজ্যের দাবিতে যারা অস্ত্র ধারণ করেছিল তাদের বিষয়ে সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে। এই চুক্তির ফলে দেড় হাজারের বেশি আন্দোলনকারী অত্মসমর্পণ করবে ৩০ জানুয়ারি। এখন তাদের আর জঙ্গি বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেন অমিত শাহ। যাদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই তাদের সরাসরি আধাসামরিক বাহিনীতে নিয়ােগ করা হবে এবং বােরাে আন্দোলনের ফলে যেসকল পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারকে এককালীন ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

চুক্তির ফলে বিটিএডি অঞ্চলকে বােড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। অসমের পার্বত্য জেলা এলাকায় বসবাসকারীদের ‘পার্বত্য আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সরকার শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বােড়ো ভাষা দেবনাগরী লিপিতে সকারি ভাষা হিসেবে রাজ্যে প্রচলিত হবে।

চুক্তির পরই সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারে পক্ষে আড়াইশাে কোটি টাকা তিন বছরের উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই কর্মসূচীতে সাড়ে বারােশাে কোটি আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় তা দেড় হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সমগ্র এলাকার পরিবেশ বান্ধব পর্যটন ব্যবস্থা ও শিল্প স্থাপনের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। সরকার উপেন্দ্রনাথের নামে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে।