৩৩ বছরের বিবাহিত প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করল ২৫ বছরের ইঞ্জিনিয়ার প্রেমিক। বেঙ্গালুরুর পূর্ণপ্রজ্ঞা এলাকার ঘটনা। মোট ১৭ বার কোপ মারা হয়েছে মহিলার শরীরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি দুই পরিবারে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল। ঝামেলা মেটাতেই একটি হোটেলে দেখা করেন দু’জন। মহিলা সম্পর্ক থেকে সরে যাওয়ার কথা বললে রাগে তাঁকে কুপিয়ে খুব করেন ইঞ্জিনিয়ার প্রেমিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩৩ বছরের হরিণী এবং ২৫ বছরের যশেসের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা দু’জনেই কেনগেরির বাসিন্দা। শুক্রবার তাঁরা একটি হোটেলে ওঠেন। তদন্তকারীদের অনুমান, খুনটি হয়েছে ৬ কিংবা ৭ জুন। হোটেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোমবার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহদুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সম্পর্কের জটিলতা থেকে এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ।
অনেক বছর ধরেই হরিণী ও যশেসের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে হরিণীর বিয়ে হয় অন্যত্র। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পরেও প্রতিবেশী যুবক যশেসের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে গিয়েছেন হরিণী। সম্প্রতি দুই পরিবারেই এই নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল। হরিণী ও যশেসের মধ্যেও ঝামেলা শুরু হয়। যাবতীয় সমস্যা মেটানোর জন্য হোটেলে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন হরিণী এবং যশেস। সেই মতো তাঁরা শুক্রবার পূর্ণপ্রজ্ঞা এলাকার হোটেলে দেখা করেন।
হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরে দু’জনের মধ্যে প্রবল ঝগড়া হয়। সম্ভবত সেই সময় ছুরি নিয়ে হরিণীকে কোপান আট বছরের ছোট প্রেমিক। বেঙ্গালুরুর ডিসিপি (দক্ষিণ) লোকেশ বি জগলাসর বলেন, ‘ওই মহিলা সম্পর্ক থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি যুবকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন। সেটাই মানতে পারেননি অভিযুক্ত। প্রেমিকার প্রতি রাগ এবং হিংসায় তাঁকে খুন করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য আমরা অভিযুক্তকে জেরা করব।’
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ বছরের যশেসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে যশেস ও হরিণীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।