পাকিস্তানের যে কোনও হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত ভারত। ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশকুমার ত্রিপাঠী সোমবার নয়াদিল্লিতে একটি সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন। অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী বলেন, নৌবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ও আধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি। সরকার দেশে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণেরও অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে এটা প্রমাণিত যে দেশে তৈরি হওয়া অস্ত্রের প্রতি আস্থা বাড়ছে।
নৌবাহিনী দিবসে বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী বলেন, ভারত শীঘ্রই ২৬টি নৌ-রাফালে জেট এবং তিনটি স্করপেন সাবমেরিন কেনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে দেশে ৬২টি যুদ্ধজাহাজ ও একটি সাবমেরিন তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া নৌবাহিনীর প্রজেক্ট-৭৫-এর অধীনে ৩১টি শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ এবং ৬টি সাবমেরিন প্রয়োজন। এর সঙ্গে ৬০টি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার মেরিনও প্রয়োজন। অনেক জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। অন্তত একটি জাহাজ আগামী বছরই নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী বলেন, আমরা নৌবাহিনীতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করেছি। রাফালে-এম (নৌ সংস্করণ) এবং স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়টি আগামী মাসে চূড়ান্ত হবে।
গত বছরচ জুলাই মাসে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফালে-এম জেট কেনার অনুমোদন দিয়েছিল। ভারত প্রাথমিকভাবে বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন করার জন্য ফ্রান্সের তৈরি রাফাল-এম জেটগুলিকে বেছে নিয়েছে। পাকিস্তানের সামুদ্রিক শক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টার বিষয়ে অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠি বলেন, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিবেশী দেশগুলির থেকে যে কোনও সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
সম্প্রতি আইএনএস আরিঘাট থেকে দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে নৌবাহিনী। এই প্রসঙ্গে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, এই পরীক্ষা সফল হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখেছেন। শীঘ্রই আমরা রিপোর্ট হাতে পাব।
ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, আমরা চিনের পিএলএ নৌবাহিনীর পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিবেশী নৌবাহিনীর উপর নজর রাখছি। তাদের যুদ্ধজাহাজ এবং গবেষণা জাহাজ বর্তমানে কোথায় আছে এবং তারা কী করছে সে সম্পর্কেও আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।