নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে কাশ্মীরে আত্মঘাতী হলেন এক সেনা জওয়ান। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে। মৃত সেনা জওয়ানের নাম ইন্দেশকুমার। তিনি মাঞ্জাকোট এলাকার অঞ্জনওয়ালি গ্রামের সেনা ছাউনির অধীন হাবিলদার পদে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। কিন্তু তিনি কেন আত্মঘাতী হলেন এবিষয়ে কিছু জানা না গেলেও ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি কোনোরকম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত আধাসেনা বাহিনীতে আত্মহত্যা ও স্বেচ্ছাবসরের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিযুক্ত টাস্ক ফোর্স এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে। এর আগে রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলাতেও একই ঘটনা ঘটে। এক সহকর্মীকে গুলি করে খুনের পর এক পুলিশকর্মী আত্মঘাতী হয়েছেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে। সেই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৭৩০ জন সিএপিএফ জওয়ান আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া ৫৫ হাজারের বেশি জওয়ানের মধ্যে কেউ কেউ পদত্যাগ ও স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন। এই রিপোর্টে আত্মহত্যার কারণও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই আত্মহত্যার কারণগুলি ‘ব্যক্তিগত’। তবে শাহের দপ্তরের প্রকাশিত রিপোর্টে কাজের চাপে মানসিক অবসাদের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। টাস্ক ফোর্সের এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী জওয়ানদের ৮০ শতাংশ চরম সিদ্ধান্ত নেন ছুটি থেকে ফেরার পরে।
Advertisement
এর থেকে বিশেষজ্ঞদের অনেকের অনুমান, স্বাভাবিক জীবনের বিনোদন এবং চাকরি জীবনের মধ্যে বিস্তর পার্থক্যের অনুভব, পারিবারিক সমস্যা, দাম্পত্য জীবনে কলহ এই আত্মঘাতী হওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া বিবাহিত জওয়ানরা দীর্ঘদিন পরিবার থেকে দূরে থাকার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে সমস্যা আরও চরম রূপ নেওয়ার একটা বড় কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Advertisement



