পুলওয়ামার পরে কুলগাম। ফের জঙ্গিদের জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী । বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে তেতে উঠেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের যমরাচ গ্রাম। এদিন ভোরেই গোপন ডেরা থেকে সেনাবাহিনী’কে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। গোটা এলালা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
কুলগামের যমরাচ গ্রামে জঙ্গিদের নতুন ডেরার খোঁজ পেয়ে ভোররাতেই এনকাউন্টার চালায় ভারতীয় সেনার ৩৪ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেল, সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ টিম। সেনাবাহিনী’র উপস্থিতি আঁচ করেই গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। তেড়ে জবাব দিতে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনীও।
Advertisement
যৌথ বাহিনীর দাবি, যমরাচ গ্রামে অনেক দিন ধরেই জঙ্গিদের আনাগোনা শুরু হয়েছিল। সেখানে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী জমায়েত হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে রাষ্ট্রীয় রাইফেল, সিআরপিএফ ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ টিম। কতজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে তাও এখনও স্পষ্ট নয়।
Advertisement
তবে জঙ্গিদের ঘিরে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী । লকডাউনের মধ্যেই বারেবারে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি ছুঁড়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী । চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৪০০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।
সেনাসূত্র জানিয়েছে, লকডাউনে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছে উপত্যকা। জঙ্গিদমন অভিযানে সাফল্যও এসেছে। জঙ্গিদের নিকেশ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন দেশের জওয়ানরা। হাওয়ারা এনকাউন্টার এযাবৎকালের মধ্যে ভারতীয় সেনার অন্যতম সফল জঙ্গিদমন অভিযান।
উপত্যকার হিজবুল মুজাহিদিনের চিফ কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকু ও হিজবুলেরই আরও এক সক্রিয় সদস্যকে নিকেশ করে ভারতীয় বাহিনী। এই এনকাউন্টারে মুখোমুখি জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করে শহীদ হন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ২১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কর্নেল আশুতোষ শর্মা, সেনা জওয়ান মনোজ অনুজ সুদ, রাজেশ কুমার, দীনেশ সিং এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর শাকিল কাজি।
সেনা সূত্রে খবর, গত বছর ডিসেম্বর থেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়েছে উপত্যকায়। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। পরিসংখ্যান বলছে গত বছর জম্মু কাশ্মীরে খতম হয়েছিল ১৫২ জন জঙ্গি। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৬০ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এপ্রিল মাসেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
Advertisement



