• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

ভারতীয় মেয়েদের সিঁদুরে হাত দিলে পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে: যোগী

পূর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী ৭ মে, বুধবার দেশজুড়ে ২৭টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় মক ড্রিল হয়।

ফাইল চিত্র

পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে ভারতীয় সেনা বাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’। আর সেটার সঙ্গে হিন্দু মহিলাদের কপালের সিঁদুরের তুলনা টানলেন উত্তর প্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হুঙ্কার, যারা ভারতীয় মেয়েদের সিঁদুরে হাত দেবে, তাদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে।

বুধবার যোগী বলেন, ‘এই অপারেশন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জবাব। জঙ্গিরা যদি ভারতের মেয়েদের সিঁদুরে হাত দেয়, তাদের পরিবারও এইভাবেই গুঁড়িয়ে যাবে। “অপারেশন সিঁদুর” হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেশের বোন ও মেয়েদের প্রতি অঙ্গীকার ও সংবেদনশীলতার প্রতীক। সেনাবাহিনীর এই সাহসিকতার প্রতি জনগণের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

প্রসঙ্গত গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরনের মতো শান্ত মনোরম পর্যটন কেন্দ্র রক্তাক্ত হয়। এই উপত্যকায় অতর্কিতে ২৫ জন নিরস্ত্র ও নিরীহ পর্যটক এবং একজন স্থানীয় টাট্টু চালককে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা দেশ। পাল্টা প্রত্যাঘাতের দাবি ওঠে দেশজুড়ে। এরপরই মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রত্যাঘাত হানে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি কার্যত গুঁড়িয়ে দেয় বাহিনী। বুধবার এই নিয়ে যোগী বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জবাব। জঙ্গিরা যদি ভারতের মেয়েদের সিঁদুরে হাত দেয় তাদের পরিবারও এইভাবেই গুঁড়িয়ে যাবে।’

পূর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী ৭ মে, বুধবার দেশজুড়ে ২৭টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় মক ড্রিল হয়। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই শুরু হয় এই অসামরিক মহড়া। যার মধ্যে ছিল উত্তরপ্রদেশও। এই মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘ভারতের গর্ব ও সম্মান নিয়ে আমরা কাউকে খেলতে দেব না। দেশ সবার আগে। কেউ ভারত মাতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে তার পরিণতি ভয়ংকর হবে। ফল ভোগ করতে হবে। গ্রাম, শহর বা পাড়া যেখানেই হোক না কেন, জাতীয় নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’