• facebook
  • twitter
Thursday, 6 February, 2025

পূর্ণকুম্ভে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, আতঙ্কে পুণ্যার্থীরা

চমনগঞ্জের কাছে জুনা আখড়ার ১৫টি তাঁবু পুড়ে গিয়েছে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

এ যেন কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে। একদিকে মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে অমৃত স্নান সারতে গিয়ে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু, তার ওপর ফের তাঁবুগুলিতে অগ্নিকান্ড। ইতিমধ্যে মেলার ২২ নম্বর সেক্টরে এই আগুনের জেরে বেশ কয়েকটি তাঁবু ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল বাহিনী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে রক্ষে, এবারের ঘটনায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। গত ১৯ জানুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের পর ফের বৃহস্পতিবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে পুণ্যার্থীদের মধ্যে।

জানা গিয়েছে, মেলা প্রাঙ্গনের চমনগঞ্জের কাছে জুনা আখড়ার প্রায় ১৫টি তাঁবু পুড়ে গিয়েছে। কিন্তু রাস্তা না থাকায় সময়মতো দমকলকর্মীরা সেখানে পৌঁছতে পারেননি। তবে কী কারণে মহাকুম্ভে দ্বিতীয়বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে পূর্ণকুম্ভে বারবার বিপত্তির জেরে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তাদের পক্ষে সাফাই দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সুরক্ষার কারণে কুম্ভমেলায় ৫০টি অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র এবং ২০০০ দমকলকর্মী দিনরাত কাজ করে চলেছেন। মেলা প্রাঙ্গনে মোতায়েন করা হয়েছে দমকলের ৩৫০টি ইঞ্জিন।

প্রসঙ্গত প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে একের পর এক দুর্ঘটনা লেগেই আছে। গত ১৯ জানুয়ারি গীতা প্রেসের রান্নাঘরে চা তৈরির সময় গ্যাস লিক করে আগুন লাগে। যার জেরে পাশেই থাকা আরও দুইটি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট বিস্ফোরণের জেরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী তাঁবুগুলিতে। এভাবে প্রায় ১৮০টি তাঁবু ভস্মীভূত হয়ে যায়।

অন্যকে বুধবার পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৬০ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্যারিকেড ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাত দুটো নাগাদ ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝের ব্যারিকেড ভেঙে পড়ে। যার জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষের জনস্রোতে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে পড়ে যান। তাঁদের পা দিয়ে মাড়িয়ে অন্যান্য পুণ্যার্থীরা অমৃতস্নানে যান। যার ফলে পদপিষ্টের মতো ঘটনায় ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে। যদিও ঘটনার পর ভিড় নিয়ন্ত্রণে ‘শাহি স্নান’ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে জনস্রোতের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। আর ঠিক তার পরের দিন ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।