• facebook
  • twitter
Saturday, 19 July, 2025

সাতসকালে ভূমিকম্প মায়ানমারে, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.৬

সাতসকালে ভূমিকম্প মায়ানমারে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৭টা ৫৪ মিনিট নাগাদ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

প্রতীকী চিত্র

সাতসকালে ভূমিকম্প মায়ানমারে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৭টা ৫৪ মিনিট নাগাদ ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনমাত্রা ৫.৬। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রবিবারের এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় থেকে ৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণে মেইকটিলা এবং উন্ডউইন শহরের কাছে মাটি থেকে ৭.৭ কিলোমিটার গভীরে। প্রাথমিকভাবে, ভূমিকম্পের জেরে হতাহতের খবর মেলেনি। প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চের জোরালো ভূমিকম্পের পর থেকে মাঝে মধ্যেই কম্পন (আফটারশক) হয়ে চলেছে মায়ানমারে।

রবিবার ভূকম্পন অনুভূত হতেই বাড়ি, দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। আতঙ্কে রীতিমতো ছোটাছুটি শুরু করে দেন কেউ কেউ। এদিকে ২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর থেকে ভারত অপারেশন ব্রহ্মার আওতায় মায়ানমারকে সাহায্য করে চলেছে। ভূতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, ইউরেশিয় প্লেট ও ভারতীয় প্লেটের সংঘর্ষের জেরেই ২৮ মার্চ ভূমিকম্প হয়েছিল। দুই প্লেটের সংঘর্ষ অনেকদিন অব্যাহত থাকায় মাঝেমধ্যেই কেঁপে উঠবে মায়ানমারের মাটি। ২৮ মার্চের ভয়াল ভূমিকম্পে মায়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬০০-রও বেশি মানুষ। ৭.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। মায়ানমারের আবহাওয়া ও হাইড্রোলজি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২৮ মার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে এ পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি আফটারশক অনুভূত হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ২.৮ থেকে ৭.৫ পর্যন্ত। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।