নতুন কাশ্মীর গঠনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : মোদি

কাশ্মীরকে আবারও ভূস্বর্গে পরিণত করতে হবে। কাশ্মীর পুনর্গঠনে প্রতিটি ভারতীয়েরই দায়িত্ব রয়েছে, কারণ তা আমাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংগ।

Written by SNS Mumbai | September 20, 2019 3:22 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (File Photo: IANS)

কাশ্মীরের মানুষ শুধু হতাশায় ভুগেছেন বিগত চল্লিশ বছর ধরে। এখন নতুন করে গঠন করতে হবে কাশ্মীরকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এদিন মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নাসিকে মহাজনাদেশ যাত্রার সমাপ্তি উপলক্ষে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, কাশ্মীর পুনর্গঠনে প্রত্যেক ভারতীয়কেই সাহায্য করতে হবে। কাশ্মীরকে আবারও ভূস্বর্গে পরিণত করতে হবে। কাশ্মীর পুনর্গঠনে প্রতিটি ভারতীয়েরই দায়িত্ব রয়েছে, কারণ তা আমাদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংগ।

এতদিন কাশ্মীরের মানুষ যে কষ্ট সহ্য করেছে সেই কষ্ট দূর করতে হবে। সম্মেলনে তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসবেন কিনা প্রশ্ন তুলতেই-উচ্ছ্বসিত জনতা সাহায্য করার সম্মতি জানায়। মােদি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ ৩৭০ এবং ৩৫(এ) ধারা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরােধীদের অপপ্রচারের কঠোর সমালােচনা করেন।

একটা সমস্যাকে জিইয়ে রেখে বিরােধীরা তাদের রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করে দেশের সংহতিকে সুদৃঢ় করতে আগ্রহী এনডিএ সরকার। এতেই কাশ্মীরের মানুষের স্বপ্ন পূরণের দিশা খুলে যাবে। তিনি কাশ্মীরকে প্রকৃতরূপেই ভূস্বর্গে পরিণত করার জন্য উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। এতে শুধু যে কাশ্মীরবাসীর উন্নয়ন হবে তাই নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারায় কাশ্মীরের অবদানও উল্লেখযােগ্য হিসেবে পরিগণিত হবে।

পাকিস্তানের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি নাশকতার মাধ্যমে অস্থিরতা ও অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ভারত এব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক ও নজরদারি রেখেছে। সীমান্ত পেরিয়ে নাশকতা ও হিংসার পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছেই।

মহারাষ্ট্রে আগামী মাসে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বিজেপির আনুষ্ঠানিক প্রচারে সুচনা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই এতদিন তেমনভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু দলের পক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাধিক্য না থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস রাজ্যে সরকারের স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করে উন্নয়নের সূচনা করেছেন।

তিনি বলেন, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলােপ অর্থাৎ ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারা বিলােপের জন্য দেশের মানুষ তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন ভােটের মাধ্যমে। অথচ বিরােধীরা সংকীর্ণ স্বার্থে এর বিরােধিতা করে চলেছে। এনডিএ সরকার কাশ্মীরীদের বিগত চল্লিশ বছরের নাশকতা, বিভেদকামী শক্তির উস্কানী ও লাগাতার হিংসাত্মক ঘটনা থেকে মুক্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

তিনি অভিযােগ করেন, দেশের মানুষ যখন কাশ্মীর নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে তখন কংগ্রেস দল এবং এনসিপি দল এর বিরােধিতা করেছে। কংগ্রেস নেতার নাম না করে মােদি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ও জঙ্গিগােষ্ঠীর বক্তব্যই তুলে ধরেছে কংগ্রেসের নেতারা। কংগ্রেসের এতে অসুবিধার কথা বােঝা যায়। কিন্তু শারদ পাওয়ারের দল কেন এর বিরােধিতা করছে।

তিনি বলেন, আমার খারাপ লাগে, যখন শুধুমাত্র ভােটের জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শারদ পাওয়ারের মতাে অভিজ্ঞ নেতা এমন দেশ বিরােধী কথা বলেন। তিনি প্রতিবেশী দেশের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারেন, কিন্তু বিশ্বের সকল মানুষই জানেন জঙ্গিদের ডেরা কোথায়।

তিনি বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের প্রতি মানুষ যে আস্থা দেখিয়েছে, তেমন আস্থাই মহারাষ্ট্রের ফড়নবিশ পরিচালিত বিজেপি সরকারের প্রতি প্রকাশ করবে বলে আশা করা যায়। কারণ কংগ্রেসের বসন্তরাও নায়েকের পর ফড়নবিশই স্থায়ী সরকার পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে। ফড়নবিশ রাজ্য সামাজিক সাম্য ও রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় করতে পেরেছেন।