প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি’র বিদেশ সফরে যাওয়ার যাবতীয় খরচের তথ্য দিতে আপত্তি জানাল বায়ুসেনা। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। তাই এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনা যাবে না বলে জানাল বায়ুসেনা।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরে যাওয়ার যাবতীয় খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে। স্পেশ্যাল ফ্লাইট রিটার্নস-টু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে এবার আপত্তি জানিয়ে ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল ভারতীয় বায়ুসেনা। তাদের যুক্তি, এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। তাই এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনা যাবে না।
Advertisement
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি’র বিদেশযাত্রা নিয়ে একটা সময় বিস্তর প্রশ্ন তুলেছে বিরােধীরা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশযাত্রা করে দেশের কোন উপকার হচ্ছে? বহুবার সে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে মােদি সরকারকে।
Advertisement
বস্তুত, প্রথমবার ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মােদি এমন কিছু দেশে গিয়েছে যে সব দেশের সঙ্গে হয়তাে আগে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্কই ছিল না ভারতের। সেই সব বিদেশযাত্রায় বিমানের খরচ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যই এবার দিতে আপত্তি জানাল বায়ুসেনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির বিদেশ সফর সংক্রান্ত নথি চেয়ে আবেদন করেছিলেন কমােডর (অবসরপ্রাপ্ত) লােকেশ বাত্রা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উড়ান সংক্রান্ত বিল, ইনভয়েস ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। এবং ৮ জুলাই তাঁকে সেই তথ্য জানানাের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন।
এ বিষয়ে দিল্লি হাই কোর্টে বায়ুসেনার দাবি, যে সমস্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পুরাে আনুষঙ্গিক তথ্য, বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রােটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) সদস্যদের নাম- সহ নানা বিষয় । যেগুলি সামনে এলে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হতে পারে। দেশের সুরক্ষা, কৌশলগত, বৈজ্ঞানিক বা অর্থনৈতিক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
কেন্দ্রের প্যানেলে থাকা সিনিয়র আইনজীবী রাহুল শর্মা এবং সি কে ভাট এই আবেদন করেছেন। তাঁদের দাবি, বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। কারণ, এই তথ্যগুলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আজ, শুক্রবার এই আবেদনের শুনানি হতে পারে।
Advertisement



