• facebook
  • twitter
Wednesday, 17 December, 2025

সুপ্রিম কোর্টের ডাকে ১১ দিন পর ধর্মঘট তুললেন দিল্লি এইমসের ডাক্তারদের

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১১ দিন পর দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ডাক্তাররা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন

আর জি কর কাণ্ডে সব থেকে বড় প্রভাব যেখানে পড়েছে তা হল চিকিৎসা ব্যবস্থা। বাংলার তিলোত্তমার নির্যাতনে এক বাক্যে গর্জে উঠেছেন গোটা দেশের চিকিৎসকরা। বিক্ষোভ-ধর্ণা-কর্মবিরতি শুরু করেছেন কলকাতা থেকে দিল্লির চিকিৎসকরা। যদিও সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠার পরই চিকিৎসকদের কাজে ফেরার কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। দু’দিন পর সেই আহ্বানে সারা দিলেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এইমস) ডাক্তাররা।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১১ দিন পর দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ডাক্তাররা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন। এদিন বিকেলে এক বিবৃতিতে দিল্লি এইমসের আবাসিক ডাক্তারদের সংগঠন জানায়, সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে সাড়া দিয়ে এবং শীর্ষ আদালতের আশ্বাস পেয়ে আমরা কাজে যোগ দিচ্ছি। রোগীদের সেবাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। একইভাবে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের ডাক্তাররাও সুপ্রিম কোর্টের আশ্বাসে ধর্মঘট তুলে নিয়ে জানিয়েছেন, আগামিকাল, ২৩ অগস্ট, সকাল ৮টা থেকে তাঁরা কাজে ফিরছেন।  উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারেও শীর্ষ আদালত ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা সেই সময় ধর্মঘট তুলতে রাজি হননি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এদিন স্বতঃপ্রণোদিত মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হওয়ার পর বিচারপতিরা বলেন, চিকিৎসকদের ধর্মঘটে ভুগছে সাধারণ মানুষ। তাদের কথা ভেবেই চিকিৎসকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ অবিলম্বে ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানায়। আদালত বলে, ডাক্তারি ধর্মে জনস্বাস্থ্য পরিষেবাকে কোনওভাবেই অচল করে দেওয়া মানায় না।

Advertisement

এদিন আদালত ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে। এবং ধর্মঘটী ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যাতে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নেয়, সে ব্যাপারেও নিশ্চয়তা দেয়। শুনানি চলাকালীনই জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীরা এবং সংগঠনগুলি জানিয়ে দেয় কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেওয়া হবে। তবে রাজ্যগুলি যেন তাঁদের সমস্যার দিকগুলি নিয়ে পদক্ষেপ করে।

ডাক্তারদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে এদিন আদালত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবকে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই বৈঠকের আয়োজন করতে বলা হয়েছে নির্দেশে। যেখানে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক করার আদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৫ সেপ্টেম্বর।

Advertisement