দিল্লি, ২৭ জুলাই – মোদির ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে শনিবার যোগ দিলেন না নীতীশ কুমার। বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি এবং বিজয়কুমার সিংহ দুই উপমুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে। বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রীই বিজেপির। কেন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিলেন না নীতীশ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নীতীশ কুমার কেন গেলেন না, তার স্পষ্ট কোনও কারণ জানানো হয়নি। দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, নীতীশের এই বৈঠকে না যাওয়া নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি তিনি। তাছাড়া বিহারের চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও নীতি আয়োগের সদস্য। তাঁরাও রাজ্যের দাবিদাওয়া তুলতে পারবেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাজেট পেশের দিনই কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছিল কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। পরে একই পথে হাঁটে পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীও চিঠি লিখে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। বিরোধীদের তরফে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে যোগ দেন। কিন্তু তাঁকেও বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মমতাও বৈঠকের মাঝপথে বৈঠক কক্ষ ত্যাগ করে বেরিয়ে আসেন।
Advertisement
শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে বসে নীতি আয়োগের বৈঠক। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাত জন মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের শরিক হয়েও তাতে যোগ দেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। জেডিইউয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রথম নয়, এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন নীতীশ। জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার পিটিআইকে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না, তা এই প্রথম নয় । এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন নীতীশ। তখন বিহারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রীরা। এ বার রাজ্যের দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রীই বৈঠকে যোগ দিতে যান।’’ নীরজ আরও জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের সদস্য চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিহারের। তাঁরাও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
Advertisement
নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর, কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর সদস্য। এ বারের বৈঠকে মূল ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ।
Advertisement



