বছর ঘুরলেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বড় পদক্ষেপ করলেন আপের জাতীয় আহ্বায়ক তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোমবার কেজরিওয়াল জানান, আরও ৮০,০০০ মানুষকে বার্ধক্যভাতা দেবে দিল্লি সরকার। এর ফলে দিল্লির ৫ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ এই ভাতার আওতায় আসবেন।
কেজরিওয়াল বলেন, ৬০ এবং তাঁর বেশি বয়স্ক মানুষদের আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য রবিবার একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশি এবং মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজও সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন। কেজরি অভিযোগ করেন, তাঁকে জেলে পাঠিয়ে এই বার্ধক্য ভাতা বন্ধের চেষ্টা করেছিল বিজেপি।
Advertisement
আপ প্রধান বলেন, জেল থেকে বেরোনোর পর যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার বয়োজেষ্ঠ মানুষেরা বলেছেন, তাঁদের ভাতা বকেয়া রয়েছে। সরকার আবেদন পত্র না নেওয়ায় ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলেও তাঁরা বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন জানাতে পারছেন না।
Advertisement
কেজরিওয়াল বলেন, ক্যাবিনেট ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত মঞ্জুর করেছে। পোর্টালও চালু হয়েছে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। দিল্লি সরকার ৬০ থেকে ৬৯ বছর বয়সীদের মাসে ২০০০ টাকা করে পেনশন দেয়। আগে এই টাকার পরিমাণ ১০০০ ছিল। আপ সরকার গঠনের পরই তা বাড়িয়ে ২০০০ করা হয়।
৭০ বছরের বেশি বয়সীরা মাসে ২৫০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা পান। আগে তাঁরা ১৫০০ টাকা করে পেতেন। আপ সরকার ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা করে। কেজরিওয়াল বলেন, গোটা দেশের মধ্যে দিল্লিতে বার্ধক্য ভাতার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ৮০০০০ আবেদন পত্র জমা না পড়া কিংবা ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত পোর্টালটি চালু থাকবে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশি বলে, বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে আপ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করতে চেয়েছিল। বিজেপি সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। পুনরায় একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করছে আপ সরকার।
লোকসভা নির্বাচনের আগে, দিল্লির আপ সরকার মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা বাস্তবায়নের ঘোষণা করেছিল। এই প্রকল্পের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। এই স্কিমের অধীনে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। যারা সরকারি কর্মচারী নন বা কর দেন না, তাঁরাই এই ভাতা পাবেন। এর ফলে দিল্লির প্রায় ৫০ লক্ষ মহিলা উপকৃত হবেন।
Advertisement



