• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জিএসটি নিয়ে ঘোষণা, পাকিস্তানকে নিশানা, স্বাধীনতা দিবসে বড় বার্তা মোদীর

প্রধানমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই জিএসটি ব্যবস্থায় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দীপাবলির আগেই নতুন সরলীকৃত কাঠামো চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

৭৯-তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের কর ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, আসন্ন দীপাবলিতে কেন্দ্রীয় সরকার পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)-এর পরিকাঠামো সরলীকরণ করতে চলেছে। তাঁর ভাষায়, ‘নতুন প্রজন্মের জন্য এটি হবে এক বড় উপহার। করের বোঝা কমিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই জিএসটি ব্যবস্থায় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দীপাবলির আগেই নতুন সরলীকৃত কাঠামো চালু করা হবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে মোদী এটিকে দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য ‘উপহার’ বলেও উল্লেখ করেন।

Advertisement

এই নিয়ে লালকেল্লা থেকে মোদীর এটি ১২-তম টানা স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ। এই পরিসংখ্যানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও ছাপিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি, তাঁর উপরে কেবলমাত্র রয়েছেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।

Advertisement

পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শত্রুদের কল্পনাতীত শাস্তি দিয়েছে আমাদের বীর জওয়ানরা। ওই হত্যাকাণ্ডের পর দেশের সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল এবং তার পরিণতিতে ভারতীয় বাহিনী যা করেছে, তা অতীতে দেখা যায়নি।’

সঙ্গে আরও একটি স্পষ্ট বার্তা দেন মোদী – সিন্ধু নদীর জল শুধুমাত্র ভারতের কৃষকদের অধিকার। ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তিকে ‘একপেশে’ ও ‘অন্যায্য’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের নদীর জল পাকিস্তানের চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ ভারতের কৃষকেরা জল পাচ্ছেন না, এটা বরদাস্ত করা যাবে না।’ পহেলগাম হামলার পরে চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত যে কূটনৈতিকভাবে যথাযথ ছিল, তা-ও এদিন ফের স্পষ্ট করেন তিনি।

জ্বালানিতে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে বড় ঘোষণা করলেন মোদী। তিনি জানান, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের পরমাণু শক্তিকে ১০ গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নতুন ১০টি পরমাণু চুল্লির নির্মাণ চলছে। শক্তি উৎপাদনে আমদানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে, স্বনির্ভর ভারত গড়াই সরকারের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে প্রতিরক্ষা, কৃষি, জ্বালানি ও কূটনীতির মতো একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। স্বাধীনতা দিবসে তাঁর এই বক্তব্য দেশবাসীর মধ্যে নতুন প্রত্যাশা ও আত্মবিশ্বাসের বার্তা দিয়েছে।

Advertisement