পিকের নাম ভাঁড়িয়ে পাঞ্জাবে ৫ কোটির প্রতারণা, ধৃত ৩

গত ২০১৭ সালে পাঞ্জাব কংগ্রেস পরামর্শদাতা ছিলেন ভােটকুশলী প্রশান্ত কিশাের।২০২২ সালে নির্বাচনে পুনরায় প্রশান্ত কিশাের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবে চুক্তিবদ্ধ।

Written by SNS Chandigarh | June 19, 2021 7:21 pm

প্রশান্ত কিশোর (Photo: IANS)

গত ২০১৭ সালে পাঞ্জাব কংগ্রেসের তরফে পরামর্শদাতা ছিলেন ভােটকুশলী প্রশান্ত কিশাের। আগামী ২০২২ সালে বিধানসভার নির্বাচনে পুনরায় প্রশান্ত কিশাের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সাম্প্রতিক বাংলায় একুশে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন পিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরনাথ সিংহের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

যেভাবে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সর্বশক্তি রুখে বাংলায় তৃণমূল কে আশাতীত সাফল্য এনে দিয়েছেন পিকে। তাতে তাঁর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কদর বেড়েছে বহুগুণ। ‘এ যেন আলাউদ্দিনের আশ্চর্যের প্রদীপ’, প্রশান্ত কিশােরই যেন আশ্চর্যের প্রদীপ পাঞ্জাব কংগ্রেসের কাছে।

তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশােরকে ঘিরে বড়সড় প্রতারণা চক্র ফাঁস করলাে পাঞ্জাব পুলিশ। পিকের নাম ভাঁড়িয়ে তােলাবাজি চলছে বলে অভিযােগ। একপ্রকার জালিয়াতি কবলে পাঞ্জাব্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ৫ কোটি টাকা নেতাদের দলীয় প্রতীক (টিকিট) দেওয়া হবে বলে টোপ দিয়ে তােলা হয়েছে।

যদিও এই জালিয়াতি চক্রের সাথে যুক্ত থাকার অভিযােগে পাঞ্জাব পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজেশ কুমার বাসিন এবং রজত কুমার রাজা নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করার পর মূল অভিযুক্ত হিসাবে গৌরব শর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যেহেতু বাংলায় শাসক দল তৃণমূলের ভােটকুশলী হিসাবে রয়েছেন প্রশান্ত কিশাের। তাই পাঞ্জাবে এই চক্রের সাথে বাংলার কোন যােগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত মাসে এই পিকের নাম ভাঁড়িয়ে এই ভােলাবাজি চক্রের পর্দাফাঁস হয়।

পাঞ্জাবের জলন্ধরের গিলের কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ সিংহ বৈদ্যকে পিকের নাম করে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট বিধানসভার কেন্দ্রের রিপাের্ট কার্ড ওই বিধায়কের পক্ষে দিয়ে আসন্ন বিধানসভার ভােটে পুনরায় টিকিট দেওয়া হবে, এইরুপ প্রতারণা করা হয়। ভােটকুশলী প্রশান্ত কিশােরই টিকিট বন্টনে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশক্ত করা হয়।

পরে বিষয়টি প্রতারণা বলে বুঝতে পেরে গিলের কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ সিংহ বৈদ্য জলন্ধ র থানায় লিখিত অভিযােগ দায়ের করেন। শুধু জলন্ধর নয়, লুধিয়ানা, অমৃতসর প্রভৃতি এলাকায় এই চক্রের হদিস মেলে।