• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ মহাবিদ্যালয়ের দু দিন ব্যাপী ‘সৌমিত্রিয়নিদামন’ সম্মেলন 

প্রাচীন শাস্ত্রে দোষ অনুযায়ী প্রচুর রোগের বর্ণনা রয়েছে কিন্তু বর্তমানে তার মধ্যে মাত্র ২৩৪টি উপলব্ধ

‘সৌমিত্রিয়নিদামন’ নামক দুই দিন ব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করল পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ মহাবিদ্যালয়। পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাগৃহে সম্মেলনের উদ্ঘাটন করেন স্বামী রামদেব। অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আচার্য বালকৃষ্ণ, কেদ্রীয় আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞান অনুসন্ধান পরিষদের মহানির্দেশক প্রফেসর (ডা.) রবীন্দ্রনারায়ণ আচার্য, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয়া দিল্লির প্রধান প্রো. শ্রীনিবাস বড়খেড়ি, ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির রাষ্ট্রীয় আয়োগের অধ্যক্ষ চিকিৎসক জয়ন্ত যশবন্ত দেবপূজারী, আয়ুষ মন্ত্রণালয়, ভারত সরকারের সচিব চিকিৎসক  রাজেশ কোটেচা প্রমুখ।

এই উপলক্ষে আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বে রচিত বিখ্যাত রচনা ‘সৌমিত্রিয়নিদামন’ এর পাশাপাশি ‘সৌমিত্রয়নিদানম রোগভোগ’ এবং সম্মেলনের স্মারিকার উদ্বোধন করা হয়। বইটির বিমোচন করার সময় স্বামী রামদেব বলেন, ‘আচার্য বালকৃষ্ণের তত্বাবধানে সম্পন্ন ‘সৌমিত্রয়নিদানম’ একটি কালজয়ী এবং অপ্রতিম রচনা। নিজের পূর্বপুরুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে ওনাদের জ্ঞান, বিজ্ঞান অনুসারে নতুন অনুসন্ধানের উন্মোচন এই নতুন যুগে যে নানান অসুখ-বিসুখ, বিকার সমাজে জন্মাচ্ছে  তাদের সঠিক নির্ণয় এবং সমাধান ছবি সহ লেখা অতীব কঠিন এবং চ্যালেঞ্জের কাজ। এখন পর্যন্ত আমাদের ঋষি পরম্পরায় প্রায় ২৩৪টি অসুখের বর্ণনা ছিল, এরসঙ্গে এবার আমাদের ঋষিদের চিন্তা-ভাবনা জুড়ে এটি প্রায় ৫০০ রোগের সচিত্র বর্ণনা এবং সমাধানের উপায় বের করা এক অভূতপূর্ব কাজ।’

Advertisement

অনুষ্ঠানে আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, যদিও প্রাচীন শাস্ত্রে দোষ অনুযায়ী প্রচুর রোগের বর্ণনা রয়েছে কিন্তু বর্তমানে তার মধ্যে মাত্র ২৩৪টি উপলব্ধ।   ‘সৌমিত্রয়নিদানম’ এমন একটি বই যাতে শরীরের গঠন অনুসারে ১৪ টি খন্ডে ভাগ করে ৬৮২১ শ্লোকে ৪৭১ মুখ্য ব্যাধির সাথে ৫০০ টি নানান অসুখের সচিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। এরসাথে বইটিতে আয়ুর্বেদের পরম্পরা অনুসারে প্রথমবার ২৫৯৯ থেকেও বেশি চিকিৎসা ব্যবস্থার বর্ণনা করা হয়েছে।  ‘সৌমিত্রয়নিদানম’-এর ইংরেজি রূপান্তরে শ্লোকের ফোনেটিকস এবং ইংরেজিতেও প্রস্তুত করা হয়েছে। এই বইটি ইংরেজি ভাষাতেও উপলব্ধ।

Advertisement

এরপর অনুষ্ঠানে নানান জ্ঞানীগুণী মানুষ জন তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের শেষে  আচার্য বালকৃষ্ণ, প্রো. সত্যপাল তথা পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের প্রো. মনোহর লাল আর্যের  ‘সৌমিত্রয়নিদানম’ এ বিশেষ সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Advertisement