উত্তর প্রদেশের মথুরায় রাধা কুণ্ডে ডুবে ১৭ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মথুরায় সপরিবারে ব্রজ দর্শনে এসেছিল ওই যুবক। পরিবারের সঙ্গে স্নান করার সময় চেন থেকে হাত সরিয়ে ফেলে সে। এর ফলে ডুবে মৃত্যু হয় তার। ঘটনার পর পুলিশ রাধা কুণ্ডে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আইনি ব্যবস্থাও শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম প্রীতম বিশ্বাস। নিউ জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ছিল সে। রবিবার সকালে গোবর্ধন এলাকায় রাধা কুণ্ডে পরিবারের সঙ্গে স্নান করছিল ওই যুবক। সেই সময় তার কাছে লোহার শিকল কোনও ভাবে সরে যায়। সেই কারণে প্রীতম গভীর জলে চলে যায়। ওই যুবককে ডুবে যেতে দেখে পরিবারের লোকজন হইচই শুরু করেন। স্থানীয় ডুবুরিরা ওই যুবককে বাঁচাতে কুণ্ডে ঝাঁপ দিলেও শেষরক্ষা হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, ১৭ বছর বয়সী প্রীতম বিশ্বাস তার বাবা-মা, মামা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে ব্রজ দেখতে এসেছিলেন। তাঁরা সবাই রাধানগর কলোনিতে একটি আশ্রমে ছিলেন। গত চার দিনের প্রতিদিনই তাঁরা পুকুরে স্নান ও ধ্যান করছিলেন। রবিবার সকালে বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে রাধা কুণ্ডে স্নান করতে নেমেছিল প্রীতম। সেই সময় জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর রাধা ও শ্যাম কুণ্ডের ঘাটে লোহার পাইপ বসানো এবং নিয়মিত ডুবুরি নিয়োগের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন পাণ্ডা সম্প্রদায়ের লোকজন। গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বেড়াতে গিয়ে এই ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে বিশ্বাস পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।