৬ মাস ধরে ১৬ বছরের কিশােরীকে ৬ জন মিলে ধর্ষণের অভিযােগ, গ্রেফতার সকলেই

১৬ বছরের এক কিশােরীর গয়ে সবার প্রথম থাবাটা বসিয়েছিল ৫০ বছরের এক প্রৌঢ়।

Written by SNS Indore | July 23, 2019 6:09 pm

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

১৬ বছরের এক কিশােরীর গয়ে সবার প্রথম থাবাটা বসিয়েছিল ৫০ বছরের এক প্রৌঢ়। এরপর যে ব্যক্তি এই ঘটনার কথা জানতে পারে, সেই নিজের দাঁত-নখ বের করতে শুরু করে। একের পর এক আঁচড় লাগে মেয়েটির গায়ে।

এমন কঠিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয় মেয়েটি। এই কিশােরীর কথা অনুসারে মােট ছ’জন ধর্ষণ করেছে তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। 

পীড়িতা মেয়েটি জানিয়েছে, ২০১৫ সালে তার মা মারা যান। তখন সে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। নিজের পড়াশােনা শেষ করে বাবা ও ছােট বােনের সঙ্গে বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে। মায়ের মৃত্যুর আগে সে হস্টেলে থেকে পড়াশােনা করত। একটি বহুজাতিক সংস্থার গার্ডের কাজ করেন তারা বাবা। কিছুদিন আগে এলাকার এক ক্যাটারিং ব্যবসায়ী তার বাচ্চাদের দেখাশােনা করার জন্য নিয়ােগ করে মেয়েটিকে।

এই সময় পঞ্চাশ বছরের অভিযুক্ত তাকে একটি অশ্লীল ভিডিও দেখায় এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়তে বাধ্য করে। অভিযুক্তের ছেলে নিহার ওকালতির ছাত্র। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে সেও পীড়িতাকে ধর্ষণ করে।

এর কয়েক সপ্তাহ বাদে এই অসহায় মেয়েটি অভিযুক্তের ভাইপাের কাছ থেকে একটি মােবাইল ধার নেয়। এই ছেলেটি পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে, তার বাবাকে জানিয়ে দেবে। এমন ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করতেও ছাড়ে না। ছেলেটির ভাইও কয়েক সপ্তাহ ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তার বয়স ১৬ বছর।

গত শুক্রবার রাতে, পাড়ার এক ছেলে তাকে ভয় দেখায়, সে যদি তার সঙ্গে সম্পর্ক না গড়ে তাহলে সবাইকে তা জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এই রকম অসহায় অবস্থার সুযােগ নিয়ে সে ও তার বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে পীড়িতাকে।

শেষ পর্যন্ত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, মেয়েটি সব কথা তার বাবাকে জানাতে বাধ্য হয়। তখন বাবা ও মেয়ে মিলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সমস্ত অভিযােগ দায়ের হওয়ার পর এই ছ’জন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।