১৬ বছরের কিশােরীকে গণধর্ষণ করে তাকে পাথর দিয়ে থেতলে খুন করা হল। এর সঙ্গে নির্যাতিতার বাবা ও তার চার বছর বয়সী নাতনিকেও প্রাণে মারলাে দুষ্কৃতীরা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলায়। লেমরু থানা এলাকায় গাধূপ্রধা গ্রামের কাছে ২৯ জানুয়ারি এই ঘটনাটি ঘটে। যদিও মঙ্গলবারই তা জানাজানি হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযােগে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা সকলেই সাতরেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা মূল অভিযুক্ত সাতরাম মাঝওয়ারের বাড়িতে গবাদি পশু দেখাশােনার কাজ করতেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই ব্যক্তি ও তার মেয়ে ও এক নাতনিকে মােটরসাইকেল করে গ্রামে ছাড়তে যাচ্ছিল সাতরাম।
যাত্রাপথে কোরাই গ্রামের কাছে মােটরবাইক থামিয়ে মদ্যপান করে মাঝওয়ার। এরপর তার সঙ্গে বাকি অভিযুক্তরা যােগ দেয়। গাধূপ্রধা গ্রামের কাছে পাহাড়ে ঘেরা একটি জঙ্গলের মধ্যে কিশােরীকে ধর্ষণ করে তারা। তারপর তিনজনকেই পাথর দিয়ে থেতলে খুন করে জঙ্গলের মধ্যে দেহগুলি ফেলে দিয়ে অভিযুক্তরা চম্পট দেয়।
মঙ্গলবারই নির্যাতিতার দাদা লেঙ্গুর থানায় তিনজনের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে। দ্রুত তদন্তে নেমে অভুিক্তদের জেরা করার পর গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশ। বাকি দু’জন মারা গেলেও তখনও বেঁচে ছিল নির্যাতিতা। কিন্তু পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, গণধর্ষণ ছাড়াও পকসাে আইনে মামলা করেছে পুলিশ। এছাড়াও তপশীলি জাতি উপজাতিদের ওপর নির্যাতনের ধারাও যােগ হয়েছে।