বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীনিবাসনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড ১৫ জন পিএফআই সদস্যকে 

Written by SNS January 30, 2024 3:02 pm

কোচি, ৩০ জানুয়ারি –  কেরলের বিজেপি নেতাকে নৃশংসভাবে খুন করায় দোষী ১৫ জন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআইয়ের সদস্যকে ফাঁসির সাজা দিল কেরলের একটি আদালত। বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীনিবাসন খুন হন ২০২১ সালে। তাঁকে খুনের অভিযোগে ১৫ জনকে এই সাজা দেওয়া হয়। মাভেলিকারা অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত বিজেপি নেতা এই ১৫  জন  দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বিচারক শ্রীদেবী ভিজি দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন।

কেরলের আলাপুঝার ভেল্লাকিনারে থাকতেন রঞ্জিত শ্রীনিবাসন। ২০২১-এর ১৯ ডিসেম্বর রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় আসামীরা। শ্রীনিবাসনের নিজের বাড়িতে মা, স্ত্রী এবং কন্যার সামনেই হামলাকারীরা তাঁকে নির্মমভাবে খুন  করে। পিএফআই-এর মূল সংগঠন এসডিপিআই-এর রাজ্য সম্পাদক কেএস শানের খুনের প্রতিশোধ হিসেবেই এই হত্যা বলে দাবি পুলিশের। ১৮ ডিসেম্বর আলাপুঝার মান্নানচেরিতে তাঁর  উপর  হামলা হয় এবং কেএস শানের মৃত্যু হয়।সেই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মাভেলিকারার অতিরিক্ত দায়রা আদালত। এরপর মঙ্গলবার তাঁদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করল অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন হলেন নিজাম, আজমল, অনুপ, মহম্মদ আসলাম, সালাম, আব্দুল কালাম, সফরউদ্দিন, মুনশাদ, জাজিব, নওয়াজ, শেমির, নাজির, জাকির হুসেন, শাজি এবং শামনাজ। আদালত জানিয়েছে, দোষীদের মধ্যে আটজন সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। বাকিদের এই অপরাধের ষড়যন্ত্রে সামিল থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আলাপুঝার সহকারী পুলিশ সুপার এনআর জয়রাজ এই ঘটনার তদন্ত করেন। ১,০০০টিরও বেশি নথি এবং ১০০টিরও বেশি অন্যান্য প্রমাণ-সহ চার্জশিট দাখিল করে তাঁর নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। প্রমাণের মধ্যে ছিল আঙ্গুলের ছাপ, ফরেন্সিক অনুসন্ধান রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ এবং গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে অপরাধীদের গতিবিধির মানচিত্র ইত্যাদি।

প্রসঙ্গত, নিজের বাড়িতে ফেরার পথে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা কে এস শান। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় এলাকা। শানের মৃত্যুর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই রঞ্জিতের বাড়িতে পিএফআই ও এসডিপিআইয়ের সদস্যরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।