বিষমদ খেয়ে মৃত কমপক্ষে ১৫ জন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০ জন। পাঞ্জাবের অমৃতসরের মজিথার ঘটনা। অমৃতসর পুলিশের তরফে সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মনিন্দর সিং এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিষমদ বিক্রেতা-সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। সরকারের তরফে ভেজাল মদ সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের বেশির ভাগই ভাঙ্গালি কালান, থারিওয়াল, সাঙ্ঘা এবং মারারি কালান ব্লকের বাসিন্দা। গুরুতর অসুস্থদের অমৃতসরের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাঞ্জাবে বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। পাঁচ বছর আগে তরণ তারণ এবং গুরদাসপুরে বিষমদে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অনেক আবার দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছিলেন। শুধু তরণ তারণেই মৃত্যু হয়েছিল ৮০ জনের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় মাজিতা থানা এলাকার একটি জায়গা থেকে মদ কেনা হয়েছিল। সেই মদ খেয়ে সোমবার সকালে কয়েক জনের মৃত্যু হয়। প্রশাসনকে না জানিয়েই স্থানীয়েরা মৃতদের শেষকৃত্য করেন। এলাকায় গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায়। এর ফলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। অমৃতসরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সাক্ষী স্বনী নিজে বিষয়টি দেখছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাব সরকারের তরফে কড়া নির্দেশিকা রয়েছে, এই ধরনের মদের কারবার চললে কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এখনও অবধি দুটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মদের কারবারি সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অমৃতসরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মনিন্দর সিং। ধৃতেরা হলেন – কুলবীর সিংহ, সাহিব সিংহ, গুর্জন্ত সিংহ এবং নিন্দের কউর।
মণীন্দ্র বলেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ খবর আসে, মাজিতা এলাকায় একের পর এক বাসিন্দার মৃত্যু হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। বিষমদ খেয়ে প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তার পর তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের মৃত্যু হয়।’ কোথা থেকে এই মদ আনা হত, সেই বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনার সাক্ষী স্বনী মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামে রয়েছে মেডিক্যাল টিম। বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজ নিচ্ছে তারা। দরকার বুঝলে হাসপাতালেও পাঠানো হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে বিহারেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। বিষমদের বলি হয়েছিলেন পশ্চিম চম্পারণের ৭ জন।