ইয়েদুরাপ্পাকে নিশানা করে মোদিকে বিঁধল কংগ্রেস

ইয়েদুরাপ্পাকে নিশানা করে মোদিকে বিঁধল কংগ্রেস। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা বিজেপিকে ১৮০০ কোটি টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস।

Written by SNS March 23, 2019 10:45 am

কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা (ছবি-IANS)

বেঙ্গালুরু, ২২মার্চ- দুর্নীতি বাণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে কংগ্রেস। এবার কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা বিজেপিকে ১৮০০ কোটি টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। স্থানীয় ক্যারাভান পত্রিকার একটি খবর তুলে ধরে কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, বিচারপতি এবং কয়েকজন আইনজীবিকে ঘুষ দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে ২০০৯ সালে একটি নথি থেকে তারা এই তথ্য দিয়েছে। সেই নথি আয়কর দপ্তরের কাছে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গচ্ছিত ছিল। তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার নাম ছিল। পত্রিকার দাবি, ইয়েদুরাপ্পাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি  এড়িয়ে যান। শুক্রবার কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেছেন ‘বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ওপর চৌকিদার চোর না চৌকিদারের সমস্ত সদস্য চোর। তারা কি তদন্তের জন্য প্রস্তুত?

কংগ্রেসের এই অভিযোগের পালটা আক্রমণ করে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। আয়কর দফতর খতিয়ে দেখছে নথিতে জাল সই করা হয়েছে কি না। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলে আমি মনে করছি। পাল্টা আমি মানহানির কথাইও ভাবছি’।

কর্ণাটক বিজেপির নথি করে পত্রিকা দাবি করেছে, ইয়েদুরাপ্পা এক হাজার কোটি টাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটিকে দিয়েছেন। এরমধ্যে নীতিন গড়কড়ি এবং অরুণ জেটলিকে দেড়শো কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজনাথ সিংকে দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে তালিকায় রয়েছে লালকৃষ্ণ আদবানী এবং মুরলী মনোহর যোশীর মতো নেতারাও। নীতিন গড়করি ছেলের বিয়েতে ইয়েদুরাপ্পা ১০কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

পাল্টা এদিন ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, কংগ্রেস যদি এই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারে তাহলে মানহানির মামলা করব আদালতে। এই নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি এদিন কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, যারা আপাদ মন্তক দুর্নীতিতে ডুবে আছে তাদের মুখে এসব অভিযোগ শোভা পায় না। কংগ্রেসকে বিজেপির চ্যালেঞ্জ হয় অভিযোগ প্রমাণ করুন, নয় ক্ষমা চান রাহুল গান্ধী।