ইন্দ্রাণী হালদারকে ‘ধর্ষণ’ করতে চান 

Written by SNS March 12, 2024 6:48 pm

এমন কোন চরিত্র নেই যেখানে তিনি অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেননি৷ বড় পর্দা থেকে শুরু করে ছোট পর্দা, সব জায়গায় তার অবাধ বিচরণ৷ সেই ইন্দ্রাণী হালদারকেই নাকি হতে হয়েছে এমন এক অবস্থার শিকার যেখানে নিজের মান সম্মান বাঁচাতে মরতেও রাজি ছিলেন তিনি৷
ঘটনাটি তাঁর কেরিয়ারের প্রথম দিকের৷ সেই সময় অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের বয়স ছিল মাত্র ২০৷ মুম্বইয়ে ডাক পেয়েছিলেন অভিনয় করার৷ নামী প্রযোজক৷ ইন্দ্রাণী অভিনীত সেই ছবিতে একাধিক শিল্পী ছিলেন মুম্বইয়েরই৷ ছবির শুটিং করতে গিয়ে প্রায় ধর্ষিতা হতে চলেছিলেন ইন্দ্রাণী৷ রাতের ঘুম কেডে় নেওয়ার মতো সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন ইন্দ্রাণী৷
সেই আতঙ্ক আজও বুকে কড়া নাডে় নির্জন কোনও রাতে৷ ভয়ে ঘামতে-ঘামতে নিন্দ্রা ভঙ্গ হয় ইন্দ্রাণীর৷ সেই ছবির কাজে দু’দুবার মুম্বই যেতে হয়েছিল ইন্দ্রাণীকে৷ প্রথমবার তাঁকে অন্যদের সঙ্গে রাখা হয় পাঁচতারা হোটেলেই৷ চলেছিল শুটিং৷ কাজ সেরে কলকাতায় ফেরত আসেন৷ দ্বিতীয়বার তাঁকে ডাকা হয় ডাবিং করার জন্য৷ কিন্ত্ত সেই বার তাঁকে রাখা হয় লিঙ্কিন রোডের এক হোটেলে৷ সেই হোটেলেই তাঁকে জোর করতে আসেন (ইন্দ্রাণীর অভিযোগ অনুযায়ী ‘ধর্ষণ’) করতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি এবং সেই ব্যক্তি আর কেউ নন, সেই ছবিরই সেই নামকরা প্রযোজক৷ ইন্দ্রাণীকে বলতে শোনা যায়, ‘সেই সময় বয়স অল্প ছিল বলে আমার সঙ্গে শুটিংয়ে যেতেন বাবা৷ দেখলাম, আমাকে সকালের ফ্লাইটে টিকিট পাঠানো হয়েছে৷ বাবাকে দেওয়া হয় বিকেলের ফ্লাইটের টিকিট৷ বিষয়টা তখন আমি বুঝতে পারিনি৷ পাঁচ তারা হোটেলে না রেখে আমাকে রাখা হয়েছিল লিঙ্কিন রোডের সেই হোটেলে৷ হঠাৎই প্রযোজক চলে আসেন সেখানে৷ ঘরে ঢুকে দরজার ছিটকিনি তুলে নিজের জামা-কাপড় খুলতে শুরু করেছিলেন তিনি৷ আমাকে কাছে টানতে শুরু করেছিলেন৷ আমারও জামা-কাপড় খুলে ফেলতেন, যদি না সেই মুহূর্তে তাঁর স্ত্রীর ফোন আসত৷ প্রযোজকের স্ত্রীর হঠাৎ ফোনই তখন আমার সহায় হয়৷
ছুট্টে গিয়ে প্রথমেই দরজার ছিটকিনিটা খুলি৷ তারপর জোরে জোরে কাশতে শুরু করি৷ সেই যাত্রায় বেঁচে যাই৷ প্রযোজক যাওয়ার সময় আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘কিস্সু হবে না তোর৷ তোর মতো অনেক মেয়ে আমার পায়ের তলায় থাকে৷’ তিনি চলে যাওয়ার পর আমি অনেকক্ষণ চুপ করে বসেছিলাম৷