• facebook
  • twitter
Sunday, 7 December, 2025

শ্রমিক উন্নয়নে রাজ্যের ভূমিকা জানালেন মন্ত্রী

বিধানসভায় মলয় ঘটক দাবি করেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের শ্রমিকদের দফায় দফায় উন্নতি হয়েছে।

নিজস্ব চিত্র

বিধানসভায় মঙ্গলবার শ্রম বাজেট পেশ করেছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। পাশাপাশি সিপিএম আমলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শ্রমিকদের জন্য কী কী কাজ করেছেন। কেন্দ্রের চালু করা শ্রমকোডেরও সমালোচনা করেছেন তিনি।
এদিন বিধানসভায় মলয় ঘটক দাবি করেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের শ্রমিকদের দফায় দফায় উন্নতি হয়েছে।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি সিপিএম আমলের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সময়কালের তুলনা করেন। পাশাপাশি, শ্রমিকদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী করেছেন তা জানিয়েছেন মলয়। তাঁর দাবি, সিপিএম শ্রমিকদের স্বার্থ খর্ব করেছিল। শ্রমিকদরদী পার্টি সাজার ভান করেছে মাত্র। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রমাণ করেছে কীভাবে শ্রমিকদের পাশে থাকতে হয়, কীভাবে তাঁদের উন্নতির জন্য কাজ করতে হয়।

Advertisement

মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী বিধানসভায় ১২৩৯.২২১৮ কোটি টাকার শ্রম বাজেট পেশ করেন। মলয় জানান, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে শ্রমিকদের মজুরি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তৃণমূল সরকারের আমলে শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম সাড়ে ৫০০ শতাংশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে ২৮ হাজার শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

Advertisement

অধিবেশনে মূলত চা বাগান এবং চটকল শ্রমিকদের স্বার্থে রাজ্য সরকার কী কী করেছে তা জানান মন্ত্রী। তাঁর কথায়, রাজ্যের মোট ২৮৫টি চা বাগানে এই মুহূর্তে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। ২০১১ সালে সেখানকার শ্রমিকরা পেতেন ৬৭ টাকা দৈনিক মজুরি। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা।

মলয় জানান, অসমের চায়ের দাম বেশি, তা সত্ত্বেও সেখানকার শ্রমিকরা ২২৮ টাকা করে মজুরি পান। ত্রিপুরার শ্রমিকরা পান ১৭৬ টাকা। পাশাপাশি রাজ্য সরকার শ্রমিকদের একাধিক সুযোগ সুবিধা দেয়। তাঁরা পরিবার পিছু বিনামূল্যে ৩৫ কিলো করে চাল পান। অসমে মাত্র ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। তাও আবার সেটা ৯ টাকা কিলো দরে কিনতে হয়। রেশনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধাও পান শ্রমিকরা।

চটকল শ্রমিকদের জন্যেও একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। দক্ষতা অনুযায়ী সব শ্রমিককে কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী তাঁরা বেতন পান। শ্রমমন্ত্রীর দাবি, মমতার সরকারের আমলে শ্রমিক অসন্তোষ নেই বললেই চলে। অপরদিকে মালিকদেরও কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় না।

Advertisement