বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় অস্ত্র আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শাসক তৃণমূলের পাশাপাশি একই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরাও। এরই মধ্যে চার অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। দুটি দোনলা বন্দুক-সহ মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ৪ রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম আমিরুল মণ্ডল, হাবিল মোল্লা, আবু শহিদ হাজি এবং গিয়াসউদ্দিন গাজি। সূত্রের খবর, বিহার থেকে অস্ত্রগুলি আনা হয়েছিল। মূলত বিক্রির লক্ষ্যেই সেগুলি দেগঙ্গায় নিয়ে আসা হয়। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অস্ত্রগুলি বিক্রির আগেই ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
প্রাথমিক তদন্তে এসটিএফ জানতে পেরেছে, অস্ত্রগুলি মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। কারা এই অস্ত্র কিনতেন, তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। ধৃতদের শুক্রবার বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। এর আগেও এভাবে ধৃতরা অস্ত্র বিক্রি করেছিলেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছিল এসটিএফ। সেই ঘটনাতেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চারজনকে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে কসবায় তৃণমূলের দাপুটে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় বিহারের দুষ্কৃতীদের।