জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (এনএইচএম) প্রচেষ্টা সফলভাবে ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্টের লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সঙ্গে, ভারত ২০৩০ সালের সময়সীমা নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য লক্ষ্য পূরণের পথে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ সালে এনএইচএম-এর অগ্রগতি প্রকাশ্যে আসে। মাতৃমৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুর হার, মোট জন্মহার এবং যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ডেঙ্গু, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, ভাইরাল হেপাটাইটিস ইত্যাদির মতো বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অগ্রগতির বিষয়েও জানানো হয়।
ন্যাশনাল সিকল সেল অ্যানিমিয়া এলিমিনেশন মিশনের মতো নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এনএইচএম ২০২১-২৪ অর্থ বছরের মধ্যে ১২ লক্ষেরও বেশি অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে নিযুক্ত করেছে। এই মিশনের আওতায় দেশব্যাপী প্রায় ২২০ কোটি কোভিড-১৯ টিকা ডোজ দেওয়া হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে এমএমআর ৮৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ৪৫ শতাংশ হ্রাসের চেয়ে বেশি।
১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৬০ শতাংশ হ্রাসের তুলনায় ভারত, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুর হারে প্রায় ৭৫ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। যক্ষ্মার প্রকোপ ২০১৫ সালে প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যায় ২৩৭ থেকে কমে, ২০২৩ সালে ১৯৫-এ নেমে আসে এবং একই সময়ে যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার ২৮ থেকে কমে ২২-এ নেমে আসে।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে, আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির কেন্দ্রগুলি ১.৭২ লক্ষে পৌঁছেছে এবং ন্যাশনাল সিকল সেল অ্যানিমিয়া এলিমিনেশন মিশনে ২.৬১ কোটিরও বেশি ব্যক্তির স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ভারত মিজলস-রুবেলা টিকাদান অভিযানে ৯৭.৯৮% কভারেজ অর্জন করেছে, এবং প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ডায়ালাইসিস প্রোগ্রাম ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪.৫৩ লক্ষ ডায়ালাইসিস রোগীকে উপকৃত করেছে।