• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

সাধারণ বাক্সে ৫০ কোটির অজগর, মাকড়সা, গিরগিটি নিয়ে নীলাচল এক্সপ্রেসে মহিলা 

জামশেদপুর, ৮ নভেম্বর– সাধারণ একটি বাক্স হাতে নীলাচল এক্সপ্রেসের সাধারণ যাত্রীদের কামরায় উঠে পড়েছিলেন এক মহিলা যাত্রী। রেলপুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাঁর বাক্সটি পরীক্ষা করতেই ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন কামরার বাকি যাত্রীরা ! ডালা খুলতেই দেখা গেল ভিতর নড়াচড়া করছে খান তিরিশেক অজগর সাপ। কিলবিল করছে মাকড়সা, গিরগিটি এমনকি, গুবরে পোকাও। পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে এর প্রত্যেকটিই

জামশেদপুর, ৮ নভেম্বর– সাধারণ একটি বাক্স হাতে নীলাচল এক্সপ্রেসের সাধারণ যাত্রীদের কামরায় উঠে পড়েছিলেন এক মহিলা যাত্রী। রেলপুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাঁর বাক্সটি পরীক্ষা করতেই ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন কামরার বাকি যাত্রীরা ! ডালা খুলতেই দেখা গেল ভিতর নড়াচড়া করছে খান তিরিশেক অজগর সাপ। কিলবিল করছে মাকড়সা, গিরগিটি এমনকি, গুবরে পোকাও। পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে এর প্রত্যেকটিই অত্যন্ত বিরল প্রজাতির প্রাণী এবং সবক’টির বাজারদর কম করে ৫০ কোটি টাকা।

খড়্গপুরের কাছে হিজলি স্টেশন থেকে দিল্লির ট্রেনে উঠেছিলেন ওই মহিলা যাত্রী। রেল পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম দেবী চন্দ্র এবং তিনি পুণের বাসিন্দা। হিজলিতে এসেছিলেন নাগাল্যান্ড থেকে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি চালায় নীলাচল এক্সপ্রেসে। টাটানগরের কাছে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে। পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছে, নাগাল্যান্ড থেকেই ওই বাক্সভর্তি সরীসৃপ এবং পোকামাকড় নিয়ে আসছিলেন তিনি।

সোমবার ঝাড়খণ্ডের টাটানগরে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছে, ওই সাপের প্রজাতির বিষয়ে প্রায় কিছুই জানেন না। আট হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি শুধু মাত্র ওই বিষধরগুলিকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছিলেন। তাঁকে ওই বিরল প্রজাতির প্রাণী সরবরাহ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নাগাল্যান্ডের এক ব্যক্তি।

Advertisement

Advertisement

Advertisement