ইম্ফল, ৬ সেপ্টেম্বর – মণিপুর সরকার উপত্যকা এবং পার্বত্য মণিপুরের মধ্যবর্তী এলাকার পাঁচটি জেলায় বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করেছে। রাজ্যের অন্যত্র সকাল ৫’টা থেকে সন্ধ্যা ৬’টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল থাকে। ওই পাঁচ জেলা থেকে কার্ফু সকাল থেকে বহাল রাখার কথা মঙ্গলবার গভীর রাতে আচমকাই ঘোষণা করে মণিপুর সরকার।
মণিপুরে ফের বড় ধরনের অশান্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কো-অর্ডিনেশন কমিটি অন মণিপুর ইনটিগ্রিটি বা কোকোমি ইম্ফল উপত্যকা এবং পার্বত্য মণিপুরের মাঝামাঝি এলাকায় থাকা সেনা ব্যরিকেড ভাঙার ডাক দিয়েছে । মূলত কোকোমির মহিলা উইং এই অভিযানের ডাক দিয়েছে। পাঁচটি জেলা হল বিষ্ণুপুর, ককচিং, থাইবল এবং ইম্ফল ওয়েস্ট ও ইম্ফল ইস্ট। কোকোমি হল এই মুহূর্তে মণিপুরে মেইতেইদের সবচেয়ে বৃহৎ এবং শক্তিশালী সংগঠন। মেইতেই মহিলাদের সংগঠন মীরা পাইবির নেতৃত্ব কোকোমির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কুকিদের মোকাবিলা করে আসছে। তাদের বক্তব্য, সেনা-আধা সেনার ব্যারাক থাকায় তারা পার্বত্য মণিপুরে ফেলে আসা বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না। ৩ মে কুকিদের আক্রমণের জেরে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়। সেনা ব্যারাক তুলে না নিলে তারা সেগুলি ভেঙে দেবে ।
কোকোমিতে মেইতেই ছাত্র-যুব-সহ সমাজের সব অংশের সংগঠন শামিল হলেও সেনা ব্যারাক ভাঙার ডাক দিয়েছেন মহিলারা। প্রশাসন মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে মানুষকে গৃহবন্দি করে রাখা ছাড়া কোনও উপায় নেই। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যানবাহন এবং লোকজনের চলাচল চালু রাখা হয়েছে। সকাল থেকে আচমকা কার্ফু জারি হওয়ায় পাঁচ জেলার পথঘাট শুনশান।
তবে পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন বিচলিত। সন্ধ্যার পর কার্ফু জারি হতেই অন্ধকার থেকে গুলি যুদ্ধ শুরু হয় কুকি ও মেইতেইদের। গত সপ্তাহে গুলি যুদ্ধে তিন দিনে আটজন নিহত হন। বেশ কয়েকটি থানাও আক্রমণ করা হয়েছে। অসম রাইফেলসের এক কর্তা যে পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন গত সপ্তাহে।
দেশে যখন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি তুঙ্গে , তখন উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে কার্ফু জারি করে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন নয়াদিল্লীতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন হবে। এদিকে আগামী ৫ দিন ইম্ফল উপত্যকায় ৫ টি জেলায় সম্পূর্ণ কার্ফু জারি করেছে সরকার। ৪ মাস পরেও হিংসার ঘটনা ঘটছে। এদিকে মোদি সরকারের ডবল ইঞ্জিনের জন্য মণিপুরের অবস্থা স্বাভাবিকই রয়েছে। ‘