কলকাতা, ২৩ মে — নিয়োগ-মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্রে শনিবার সিবিআই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই সূত্রেই সারদা ও নারদ মামলার পুরনো অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দিকে অভিযোগের তীর দাগতে পিছু হটছে না তৃণমূল।নিয়োগ-মামলায় কড়া পদক্ষেপ থেকে অব্যাহতি পেতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন, সে দিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে চাপ বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। কাঁথি পুরসভার একটি প্রকল্পের জন্য সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের দেওয়া ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না, শুভেন্দু বলুন। যদি এই তথ্য ঠিক হয়, তা হলে তাঁর অন্য অভিযোগ নিয়েও তদন্ত দরকার। আর যদি মিথ্যা হয়, তা হলে সবটাই মিথ্যা।’’ সেই সময়ে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।
শাসক দলের তরফে সোমবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও সারদা ও নারদ মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা শুভেন্দুকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করছে না? শুভেন্দুর আবার পাল্টা প্রশ্ন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলে তৃণমূল আদালতে যাচ্ছে না কেন?
কলকাতায় পাল্টা মুখ খুলেছেন শুভেন্দুও। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘‘আমাকে ডাকা যাবে না, নোটিস দেওয়া যাবে না, এই রকম কোনও আবেদন নিয়ে আমি তো হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যাইনি। তদন্ত হোক না। আর দ্বিতীয়ত, এখানে ওখানে যে কথাগুলো ওঁরা বলছেন, সেগুলো আদালতে গিয়ে বলুন। এ বার যে সিবিআই ওঁকে ডেকেছিল, জিজ্ঞাসাবাদ করল, সেই পদক্ষেপ হয়েছে আদালতের নির্দেশে। নিজে বাঁচতে সিঙ্গল বেঞ্চ-ডিভিশন বেঞ্চ, হাই কোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। এত ভয় কীসের?’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘দুর্নীতির মামলায় নিজেরা বাঁচতে এবং বিরোধী দলনেতাকে জেলে পোরার লক্ষ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তার মধ্যে ২৯২ কোটি টাকা রাজ্যের কোষাগার থেকে আইনজীবীদের ফি মেটানো হয়েছে, জনগণের টাকায়।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



