• facebook
  • twitter
Saturday, 14 December, 2024

‘জিরো শ্যাডো ডে’, আলোছায়ার লুকোচুরি স্থায়ী হবে দেড় মিনিট  

বেঙ্গালুরু,  ২৪ এপ্রিল –  শৈশবে ভূতের গল্প পড়েন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তাই কমবেশি সবই জানেন, ভূত চেনার এক অন্যতম উপায় হল, তার নাকি ছায়া পড়ে না। এমনই এক ভৌতিক দিনের নাকি সাক্ষী হতে চলেছে দেশ। মঙ্গলবার রোদে বের হলেও ছায়া দেখা যাবেনা। সেই ছায়া নিজের হোক কিংবা অন্য কিছুর। এই মহাজাগতিক ঘটনার

বেঙ্গালুরু,  ২৪ এপ্রিল –  শৈশবে ভূতের গল্প পড়েন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তাই কমবেশি সবই জানেন, ভূত চেনার এক অন্যতম উপায় হল, তার নাকি ছায়া পড়ে না। এমনই এক ভৌতিক দিনের নাকি সাক্ষী হতে চলেছে দেশ। মঙ্গলবার রোদে বের হলেও ছায়া দেখা যাবেনা। সেই ছায়া নিজের হোক কিংবা অন্য কিছুর। এই মহাজাগতিক ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হবে বেঙ্গালুরু। দক্ষিণের এই শহরে মঙ্গলবার হবে ‘জিরো শ্যাডো ডে’। অর্থাত, ছায়াহীন দিন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে বেঙ্গালুরুতে এই বিরল অভিজ্ঞতার শরিক  হবেন  সেখানকার বাসিন্দারা ।

কিন্তু বিজ্ঞানের ভাষায় কিভাবে একে ব্যাখ্যা করা যায় ? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ভর দুপুরে ছায়া দেখা যাবে না এ আবার কেমন কান্ড।  বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই দিনটি হল ‘জিরো শ্যাডো ডে’।  অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেল , সূর্য এবং পৃথিবীর অবস্থানগত পরিবর্তনের জন্যই বছরে ২ বার কোনও একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কর্কটক্রান্তি রেখার দক্ষিণ অংশে  জের শ্যাডো ডে-র প্রভাব পড়ে। সূর্যের উত্তরায়ণ এবং দক্ষিণায়ণের কারণে পৃথিবী থেকে সূর্যের কৌণিক অবস্থান এমন হয়, যার ফলে উধাও হয়ে যায় ছায়া ।

বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চলেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে দেড় মিনিট এই পরিস্থিতি থাকবে। এর আগেও দেশের নানা শহরে এমন দিন প্রত্যক্ষ করে গেছে। গত বছর জুন মাসেই নাকি কলকাতায় ক্ষনিকের জন্য এমন এক ছায়াবর্জিত দিন পার করেছি আমরা।