• facebook
  • twitter
Tuesday, 3 December, 2024

চিনকে চাপে রাখতে দুই দ্বীপকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দিল হোয়াইট হাউসের 

ওয়াশিংটন, ২৬ সেপ্টেম্বর– চিনকে ঠেকাতে মরিয়া মার্কিং প্রশাসন। সেই প্রচেষ্টায় এবার প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ বলা হচ্ছে, চিনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপ

জো বাইডেন (File Photo: IANS)

ওয়াশিংটন, ২৬ সেপ্টেম্বর– চিনকে ঠেকাতে মরিয়া মার্কিং প্রশাসন। সেই প্রচেষ্টায় এবার প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ডস ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ বলা হচ্ছে, চিনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।

সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপ রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই।

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল ‘মুক্ত ও অবাধ’ হবে বলে বাইডেনের ধারণা। সেই সাথে এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে যার ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল বলে জানান বাইডেন।দু’টি দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই।

আমেরিকার এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।

এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চিনের ঘনিষ্ঠ।

ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে আমেরিকা বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি আমেরিকাকে তাদের কাজ আরো বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। বাইডেন আরও জানান, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, অবৈধ মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণে এবং গণস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নখাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।