জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের মামলা খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট 

Written by SNS February 13, 2023 4:17 pm

শ্রীনগর , ১৩ ফেব্রুয়ারি — আসন পুনর্বিন্যাসের কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা সোমবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনী ক্ষেত্রের পুনর্বিন্যাসের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন শ্রীনগরের দুই ব্যক্তি। সেই পিটিশনে জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস বাতিল করার আর্জি জানানো হয়। সোমবার সেই পিটিশন খারিজ করে দেওয়ায় কেন্দ্রের করা পুনর্বিন্যাস বজায় থাকল। এর উপর ভিত্তি করেই আগামী দিনে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট হবে এই রাজ্যে।

‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস আইন, ২০১৯’ অনুসারে ওই বছরের  অক্টোবর মাসে ভাগ হয়ে যায় জম্মু ও কাশ্মীর। একটি অংশ জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মানচিত্র বদলে যায় । ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি ঘটায় জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায়। এরপরই জম্মু ও কাশ্মীরে পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে কেন্দ্র। গঠিত হয় প্যানেল। ২০২২ এর মে মাসে পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা কেন্দ্রের আসন দাঁড়ায় ৯০। এর মধ্যে জম্মুতে রয়েছে ৪৩টি বিধানসভা আসন এবং কাশ্মীরে ৪৭টি। লোকসভার আসন পাঁচটি। যদিও আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা কেন্দ্র ছিল ১১১টি। কাশ্মীরের দুই বাসিন্দা আব্দুল গনি খান এবং মহম্মদ আয়ুব মাটো সম্প্রতি এই পুনর্বিন্যাসের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। আসন পুনর্বিন্যাস করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্য কোনও কমিশন নিতে পারেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।  সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল এবং এএস ওকা মামলাটি খারিজ করে দেন। আদালতের তরফে জানানো হয়, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বহু মামলা হয়েছে। সেগুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস আইন, ২০১৯ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না সুপ্রিম কোর্ট।

কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আগের তুলনায় অনেক কমেছে। এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়ে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এই পুনর্বিন্যাস নিয়ে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপির সুবিধা করে দিতে এ রকম পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।