• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

মেঘালয়ে লক্ষীর ভান্ডারের নতুন নাম ‘উই কার্ড 

শিলং, ১৩ ডিসেম্বর– বাংলার মহিলাদের পকেটে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পৌঁছে দিয়ে একুশের ভোটে বাজি মাত করে ফেলেছিলেন দিদি। এসটি, এসসি, ওবিসি হলে মাসে এক হাজার টাকা। তৃতীয়বার সরকার গড়ার পর সেকথা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম দিয়েছেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’ এবার সেই  ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দিয়েই মেঘালয়ে বাজি মাত করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে সেখানে

শিলং, ১৩ ডিসেম্বর– বাংলার মহিলাদের পকেটে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পৌঁছে দিয়ে একুশের ভোটে বাজি মাত করে ফেলেছিলেন দিদি। এসটি, এসসি, ওবিসি হলে মাসে এক হাজার টাকা। তৃতীয়বার সরকার গড়ার পর সেকথা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম দিয়েছেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’ এবার সেই  ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দিয়েই মেঘালয়ে বাজি মাত করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে সেখানে এই প্রকল্পের নাম  ‘উই কার্ড।’ 

আগামী দু’মাস পর ফেব্রুয়ারিতে মেঘালয়ে ভোট। তার আগে মঙ্গলবার মেঘের রাজ্যে দাঁড়িয়ে মমতা জানালেন, মেঘালয়ে ক্ষমতায় এলে সেখানকার মহিলাদেরও মাসে হাজার টাকা করে দেবে তৃণমূল। সামগ্রিকভাবে এই প্রকল্পকে মহিলাদের ক্ষমতায়ন হিসেবেই তুলে ধরতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসসঙ্গে বাংলায় যেভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে সেই ধাঁচে মেঘালয়েও হেলথ স্কিম চালু করার অঙ্গীকার করেছেন দিদি।

Advertisement

যদিও মেঘালয়ের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উই কার্ড।’ এদিন ইউ সোসো থাম অডিটোরিয়ামে মেঘালয় তৃণমূলের কনভেনশনে একটি তথ্যচিত্র দেখিয়ে বলা হয়, তারা সরকারে এলে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে উই কার্ড।

Advertisement

এই প্রকল্পের জন্য রীতিমত হোমওয়ার্কও সেরে ফেলেছে তৃণমূল। এরজন্য ইতিমধ্যেই মেঘালয় তৃণমূলের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের ফর্ম ফিলআপ করাচ্ছেন। তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে, একটি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। তা স্ক্র্যাচ করলেই টাকা তুলতে পারবেন। প্রতি মাসে ওই কার্ডে এক হাজার টাকা করে ট্রান্সফার করবে সরকার। এদিন একজনের হাতে সেই প্রতীকী কার্ডও তুলে দেন মমতা।

তবে এখন দেখার এই প্রকল্প মেঘালয় তৃণমূলকে কতটা সুবিধে করে দিতে পারে ? কারণ এই প্রকল্প বঙ্গে বাজিমাত করলেও এর আগে গোয়া নির্বাচনেও ঘরে ঘরে মহিলাদের মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু সমুদ্র উপকূলের রাজ্যে তৃণমূল সেভাবে পা জমাতে পারেনি। তবে রাজনীতির দিক থেকে গোয়া এবং মেঘালয় এক নয়। সেখানে তৃণমূল এখন প্রধান বিরোধী দল। মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

Advertisement